বাড়ি-ঘর সবই ছিল যা এখন অতীত,ছাই ছাড়া কিছু নাই


শামসুজ্জোহা বাবু,গোদাগাড়ী:
ঘরেই শুয়ে ছিলাম। এর মধ্যেই বিদ্যুৎ এর সংযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত। চারপাশ থেকে আগুন আগুন চিৎকার শুনে বেরিয়ে আসে দেখি সব পুড়ে ছাই। গত বৃহস্পতিবার  খুব ভোর  এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে  উপজেলার গোদাগাড়ী ইউনিয়নের কুছড়া  এলাকায়।


এসয়ম স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে ফোন করে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা আসার আগেই  চারটি ঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, ছেলেদের সার্টিফিকেট, বই-খাতা, মজুদকৃত খাদ্যশষ্যসহ সকল কিছু পুড়ে যায়।

সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জীবনের শেষ সম্বল হারিয়ে বিলাপ করছেন মুক্তিযোদ্ধা। আগুনে পুড়ে  পুরো জায়গাটিতে কেবল পোড়া মাটির গন্ধ ছাড়া কিছুই নাই। এছাড়া ঘর পুড়ে সর্বশান্ত নারীরা আশ্রয় নিয়েছেন আশ-পাশের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে। তারা ছাড়া অন্যদের ঠাঁই খোলা আকাশের নিচে। আগুন সব কেড়ে নিলো। এই বাড়ি ছাড়া আর কিছু নাই তার। ক্ষতি তাদেরও তো কম নয়। আর বাড়ি-ঘর সবই ছিল যা এখন অতীতই বটে।

পরিবারে কথা তুলে ধরে কান্না জড়িতকণ্ঠে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সেরাজুল ইসলাম জানান, ঘরে থাকা তার জরুরী কাগজপত্র ও ফাইলপত্রসহ ঘরে জিনিসপত্র আগুনে পুড়ে গিয়ে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ।  আমার পরিবারে সদস্য ১০ জন। সবাই না খেয়ে আছে, চোখের সামনে আগুন সব কাড়লো; কিছুই করতে পারলাম না। আগুনে সব পুইড়া গেছে। ছাই ছাড়া কিছু নাই। আগুন আমগো পথের ফকির বানাইয়া দিছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প ব্যস্তবায়ন অফিসার আবু বাশির বলেন,ক্ষতিগ্রস্থ মুক্তিযোদ্ধার বাড়ী ঘর পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল ইসলাম সরকার সাময়িক খাদ্যসামগ্রী ও কিছু আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন তবে ভূক্তভুগী মুক্তিযোদ্ধা আবেদন করলে তার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা যাবে।


শর্টলিংকঃ