বিএনপির রাজনীতি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যনির্ভর হয়ে যাচ্ছে


ইউএনভি ডেস্ক:

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়াকে পুরোনো কারাগারে সুব্যবস্থায় রাখলে বিএনপির নেতারা বলেন পরিত্যক্ত জায়গা। আর নতুন কারাগারের কথা বললে বলেন নির্মিতব্য কারাগার। তাহলে কোথায় রাখতে হবে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে? পাঁচ তারকা হোটেলে?

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের পাশের ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে না, এমন অভিযোগের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের দুটি কেবিন অনেক দিন ধরে বরাদ্দ। এমনকি এখনো খালি রাখা আছে। কিন্তু তিনি সেখানে যাবেন না।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের জীবন সংকটে তাঁকে ইউনাইটেড বা বাসার কাছের স্কয়ারে নেওয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। যে চিকিৎসার প্রশংসা করেছে বিদেশি বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু খালেদা জিয়া সেখানে যাবেন না। এটা কার দায়?’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির রাজনীতি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যনির্ভর হয়ে যাচ্ছে। হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার এই হাঁটুর ব্যথা নতুন নয়, এই ব্যথা হয়েছিল আরও ১৫ থেকে ২০ বছর আগে। এই হাঁটুর ব্যথা নিয়েই তিনি দুবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দুবার বিরোধীদলীয় নেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিএনপির মতো একটি দলের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেছেন।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, এটি কোনো নতুন অসুখ নয়, এরপরও খালেদা জিয়ার পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। তাঁর জন্য কারাগারে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক, ফিজিওথেরাপিস্ট ও নার্সের পাশাপাশি উপমহাদেশের ইতিহাসের সব রীতিনীতি ভেঙে খালেদা জিয়ার পছন্দের গৃহপরিচারিকা ফাতেমাকে কারাগারে তাঁর সঙ্গে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ বিছানা, ফ্রিজ, টিভি ও পৃথক রান্নাঘরও দেওয়া হয়েছে। তারপরও খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপির রাজনীতি করা দুঃখজনক।

এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এক মন্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান যখন বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন, তখন কোন তন্ত্র ছিল?’ তিনি আরও বলেন, যে দলের জন্ম বন্দুকের নল আর ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট দিয়ে, সেই দলের মহাসচিব হচ্ছেন মির্জা ফখরুল। দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই তিনি সকাল–বিকেল গলা উঁচিয়ে কথা বলতে পারছেন। গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্র নেই বলে চিৎকার করতে পারছেন।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনা, নৌ ও প্রায় ৭০০ বিমানবাহিনীর সদস্য হত্যা করেছেন। বন্দুকের নলে দখল করা ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে রাতের বেলা লাগাতার কারফিউ দিয়ে ‘কারফিউতন্ত্র’ করেছেন। আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ দলের নেতা-কর্মীরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

স/প্র আ


শর্টলিংকঃ