মান্দায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ


নওগাঁর মান্দায় সংখ্যালঘু পরিবারের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার সকালে উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের ছোট চকচম্পক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে। তিনি ছোট চকচম্পক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।

ভিকটিম শিক্ষার্থীর দাদি জানান, ‘শুক্রবার সকালে ৭টার দিকে আমার নাতনিকে প্রাইভেট পড়ার জন্য প্রতিবেশি শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বাসায় নিয়ে যাই। এসময় সেখানে আর কোনো শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল না। এ অবস্থায় নাতনিকে সেখানে রেখে আমি বাসায় চলে আসি। এর কিছু পরে নাতনি কাঁদতে কাঁদতে বাসায় ফিরে তার মায়ের নিকট শিক্ষক আমিনুল র্র্র্কর্তৃক ধর্ষণের বিষয়টি অবহিত করে।’

শিক্ষার্থীর দাদি আরও বলেন, অন্য শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিতে শিক্ষক আমিনুল ইসলাম আমার নাতনিকে ডেকে বাসার তিনতলার একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে মুখ চেপে ধরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে। শিক্ষক আমিনুলের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় সংখ্যালঘু পরিবারটি চরম আতঙ্কে রয়েছে বলেও দাবি করেন ভিকটিমের দাদি।

স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনায় ভিকটিম শিক্ষার্থীর মা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলামের নিকট গত শনিবার মৌখিক অভিযোগ দেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে বলেও দাবি করেন স্থানীয়রা।

অবশেষে গত সোমবার ভিকটিমের মা বাদি হয়ে মান্দা থানায় শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, ঘটনাটি অবহিত হয়ে শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষাসহ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।


শর্টলিংকঃ