রাবিতে ‘বটমলেস বাস্কেট টু ইমাজিং ইকোনোমি’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব


রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘ফ্রম এ বটমলেস বাস্কেট টু ইমাজিং ইকোনোমি: রোল অব বঙ্গবন্ধু অ্যান্ড শেখ হাসিনা ইন দ্য ট্রান্সফর্মেশন অব বাংলাদেশ’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন সিনেট ভবনে বঙ্গবন্ধু পরিষদ এই উৎসবের আয়োজন করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার অবদান সম্পর্কে এই বইটি লিখেন। ইংরেজিতে রচিত বইটিতে বিভিন্ন সময়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রবন্ধগুলো সংকলিত হয়েছে। এর আগে বিদেশে তিনি ৭টি বই প্রকাশ করেন। তবে প্রথমবারের মতো তিনি বাংলাদেশে এই বইটি প্রকাশ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন মিশ্রের সঞ্চালনায় এবং উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের সভাপত্বিতে প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে গ্রন্থের প্রণেতা অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা এবং পরবর্তীতে দেশ গঠনে শেখ হাসিনা কিরূপ অবদান রেখেছিলেন তার প্রেক্ষিতে এই বইটি লেখা হয়েছে। বইটিতে আওয়ামীলীগ সরকারের সাফল্য তুলে ধরা হয়েছে। ’৭১ থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত অর্জিত নানা বিষয় নিয়ে এই বইটি রচনা করা হয়েছে। যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বড় একটা তথ্যের সোর্স হিসেবে কাজ করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধু একাডেমিক পড়াশোনা নিয়েই লিখি না। এর বাইরে এসেও লেখালেখির চেষ্টা করি। এখানে যেমন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সাফল্যর কথা তুলে ধরা হয়েছে তেমনি তাদের ব্যর্থতার কারণগুলো নিয়েও আমরা সমালোচনা করি। তবে বর্তমান প্রজন্ম যাতে ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে এ জন্যই বইটি লেখা।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ তৈরি করে দিয়েছেন আর তাঁর দেখা স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। দেশের প্রতি দরদ আছে বলেই তিনি উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অবদান রাখছেন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করছেন। তবে বিএনপি ও জামায়ত শিবির উন্নয়নকে ভাল চোখে দেখছে না। তাদের দশ জনের জন্য লক্ষ মানুষের শান্তি নষ্ট হচ্ছে। আর এই দশ জনের জন্য যদি দেশের শান্তি নষ্ট হয় তাহলে তাদের কথা না চিন্তা করাই ভাল।’

মেয়র আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার পিছনে শেখ হাসিনা কাজ করছেন। এরই মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বাজেট প্রনয়ন করেছেন। বর্তমানে আমরা বিদেশে গবেষণা এবং পড়াশোনার জন্য যাই। তবে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরও গবেষণাধর্মী করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। যাতে সামনের দিনে বিদেশ থেকে আমাদের দেশে গবেষণার জন্য আসে।’

এসময় উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান বলেন, ‘শুধুমাত্র অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল থাকলেই সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনা করা যায় না। এজন্য দক্ষ পরিচালকের প্রয়োজন হয়। তেমনি পিতা দেশ সৃৃষ্টি করে দিয়েছেন আর পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কন্যা কাজ করে যাচ্ছেন। এই দুইজনের অবদান বাঙালি জাতি কখনো ভুলে যাবে না। আর তাদের অবদান নিয়ে রচিত বই আমাদের জন্য বড় পাওয়া। যা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে শিক্ষা দিবে।’ এসময় তিনি প্রবন্ধ প্রণেতা অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডেকে অভিনন্দন জানান।


শর্টলিংকঃ