শেখ হাসিনার কমিটমেন্টের সোনালী ফসল পদ্মা সেতু


ইউএনভি ডেস্ক:

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার কমিটমেন্টের সোনালী ফসল আজকের এই পদ্মা সেতু। তার সাহস ও দূরদর্শিতা আমাদের বিশাল সম্পদ। সংকটেও তিনি অকুতোভয়ে এগিয়ে যান।আজ শুক্রবার পদ্মা সেতু প্রকল্পের মাওয়া প্রান্তে সমাপনী সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন না করতে চাইলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু করার ঘোষণা দেন। ২০১৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতুতে প্রথম স্প্যান বসানোর সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছিলেন। প্রথম স্প্যান বসাতে তার জন্য অপেক্ষা করতে চাইলে তিনি সেদিন বলেছিলেন, আমার জন্য পদ্মা সেতুর কাজ এক মিনিটের জন্যও বন্ধ থাকবে না। প্রবল স্রোতে পদ্মার ভাঙনের সময়ও ভাঙন প্রতিরোধে দূরদর্শী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর নাম শেখ হাসিনার নামে শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করতে চেয়েছিলাম, সংসদেও দাবি উঠেছিল। দাবি করেছিলেন সারা দেশের বহু মানুষ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি কোনোভাবেই আমার নাম ব্যবহার করব না। সেতুর নাম পদ্মা নদীর নামেই হবে।

সমাবেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর সঙ্গে আপনার নাম (শেখ হাসিনা) মিশে গেছে। যতদিন পদ্মা সেতু আছে, ততদিন শেখ হাসিনার নামও উচ্চারিত হবে স্বগৌরবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা অকুতোভয়ে সংকটেও এগিয়ে যান। অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির, ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ, লড়ে যায় বীর। তিনি (শেখ হাসিনা) আমাদের আরও গর্বিত করেছেন, জাতিকে দারিদ্রতা থেকে বের করে এনেছেন, দূর করেছেন অন্ধকার।

পদ্মা সেতুর উত্তর থানা সংলগ্ন মাঠে এই সমাপনী অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এই একই মাঠে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ও রেল সংযোগ প্রকল্পের অনুষ্ঠান হয়েছিল। এদিকে অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিকেল ৩টা থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন। এরপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিকেল সভাপতির বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এরপরই প্রধান অতিথির ভাষণ রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


শর্টলিংকঃ