পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় হাট-বাজার গুলোতে আগত কৃষকদের প্রতিনিয়ত ওজনে প্রতারিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকালে বানেশ্বর হাটে আগত ভূক্তভোগিরা পণ্য বিক্রি বন্ধ রেখে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে অতিরিক্ত ওজনের বিষয়টি সঠিক সুরাহা করার প্রতিশ্রুতি দিলে পূনরায় কেনা-বেচা শুরু হয়।
![](https://universal24news.com/wp-content/uploads/2020/10/Puthia.jpg)
পেয়াজ ব্যবসায়ি আকরাম হোসেন বলেন, কৃষকরা একমণ ফসল দাড়ি-পাল্লাতে মেপে হাটের ডিজিটাল পাল্লাতে তোলার পর তার ওজন প্রায় ৪২ কেজি হয়। আমরা কৃষকদের নিকট থেকে শুধু দাড়ি-পাল্লায় যে ওজন হয় সে পরিমান চেয়েছি। কিন্তু তারা সেটা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে ধর্মঘট শুরু করেন।
ভালুকগাছি এলাকার পেয়াজ চাষি সোহেল রানা বলেন, ব্যবসায়িরা আমাদের নিকট থেকে ৪২ কেজিতে মণ নিবেন। আবার কোনো ক্রেতা তাদের নিকট থেকে কিনতে গেলে তারা ৪০ কেজির এক পয়েন্টও বেশী দেন না। ডিজিটাল পাল্লার অযুহাতে ব্যবসায়িরা আমাদের সাথে প্রতিনিয়ত ওজন নিয়ে প্রতারিত করছেন। তার উপর হাট ইজারাদার ঝাড়ুদারদের মাধ্যমে প্রতিমণে এক কেজি তোলা নিচ্ছেন। এতে করে আমাদের প্রতিমণে তিন কেজি ভুর্তুকি দিতে হচ্ছে। বিষয়টি হাট ইজারদার-উপজেলা প্রশাসনের নিকট একাধিকবার অভিযোগ করেও আমরা কোনো সমাধান পাইনি। যার কারণে আজ সকালে বানেশ্বর হাটে আগত কৃষকরা পণ্য বিক্রি বন্ধ রেখে মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
হাট ইজারাদার ওসমান আলী বলেন, ডিজিটাল ওজন চালু হওয়ার পর থেকে ব্যবসায়িরা কৃষকদের নিকট থেকে প্রতিমণে এক-দেড় কেজি বেশী নেয়। ব্যবসায়িদের এই দাবি মানতে অপারগ অনেক কৃষক। তাদের দাবি মণে ৪০ কেজির বেশী দিবেন না। এ বিষয়টি নিয়ে সকালে পেয়াজ হাটে উভয় পক্ষের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়ে ছিল। পরে এটার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন সঠিক সুরাহা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে হাটে আবারো কেনাবেচা শুরু হয়। আর হাট ঝাড়ু দেয়া লোকজন কৃষকদের নিকট থেকে তোলা আদায় করার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওজন নিয়ে বানেশ্বর হাটে কৃষক-ব্যবসায়িদের মধ্যে ঝামেলা দেখা দিয়েছিল। পরে বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে সুরাহা করার আবারো কেনাবেচা চলছে। আর মালামালের সঠিক ওজনের বিষয়টি নিয়ে আগামি কয়েক দিনের মধ্যে সকল হাটের ব্যবসায়ি ও কৃষকদের সাথে বসে সমাধান করা হবে।