দ্বিতীয় স্ত্রী মারুফা বেগমকে (৩৫) হত্যা করে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রেখেছিলেন স্বামী শহীদুল ইসলাম। বিষয়টি ধামা চাপা দিতে থানায় স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছে মর্মে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেও রক্ষা পেলেন না তিনি।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সেপটিক ট্যাংক থেকে বিকট দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। এরপর বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তারা শহীদুল ইসলামকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ এসে শহীদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ লুকিয়ে রাখার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেন। তার দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় মারুফা বেগমের মরদেহ।
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে ঘটে এ ঘটনা। তারা ওই গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশের তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে শহীদুল ইসলাম জানায়, ১৭ নভেম্বর শ্বাসরোধ করে মারুফাকে হত্যা করেন তিনি। এরপর পুকুরের মধ্য দিয়ে মরদেহ টেনে নিয়ে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রেখেছিলেন। পরে মারুফা নিখোঁজ হয়েছে মর্মে থানায় জিডি করেছিলেন ১৯ নভেম্বর।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হুসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শহীদুল ইসলাম নিজের স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাকে আটকও করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।