ইউএনভি ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটা আমার টানা তৃতীয় মেয়াদ। এর আগেও ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েছি। সব মিলিয়ে চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছি। আমি আর প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না। অবসরে যাওয়ার সময় এসে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘একটা সময়ে এসে সবারই বিরতি নেওয়া উচিত। আমার সেই সময়টা এসে গেছে। আমি মনে করি, তরুণ প্রজন্মের জন্য জায়গা ছেড়ে দিয়ে আগামীতে আমার সরে যাওয়া উচিত।’
সাম্প্রতি জার্মানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান– এসব মৌলিক চাহিদা। এগুলো আমরা জনগণের জন্য নিশ্চিত করতে চায়। কারণ প্রত্যেক মানুষই তার অবস্থার উন্নতি ঘটাতে চায়৷ সরকারের দায়িত্ব সেটা নিশ্চিতে কাজ করা। সরকার সেই পথেই হাঁটছে।’
একমাস আগেই চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তাঁর দল আওয়ামী লীগ ও এর জোটের দলগুলো মিলে এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯৬ শতাংশ আসন জিতেছে৷ টানা তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেবার পর এই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক সম্প্রচার মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিলেন তিনি। তাতে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, পরবর্তী মেয়াদে আর প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য চেষ্টা করতে চান না৷
সাক্ষাতাকারে প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকারের সময়ে বাংলাদেশে গত এক দশকে ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে৷ বছরে গড়ে ৬ থেকে ৭ ভাগ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে৷ বাণিজ্য বেড়েছে৷ বিদেশি বিনিয়োগও এসেছে৷
তবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নের দাবি করলেও বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, ‘এখনো বাংলাদেশের প্রতি চার জনে একজন দরিদ্র৷’ শেখ হাসিনা তাঁর সম্ভাব্য শেষ মেয়াদে এই দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইকেই অগ্রাধিকার দিতে চান৷
সূত্র: ডয়েচে ভেলে অনলাইন।