ছাঁটাই হচ্ছে ২০ হাজার ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’


ইউএনভি ডেস্ক :

মুক্তিযোদ্ধাদের চুড়ান্ত তালিকা প্রণয়নে শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক। সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বৃহস্পতিবার মন্ত্রী জানান, আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে তালিকা প্রকাশের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আগের তালিকা থেকে প্রায় ২০ হাজার ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ ছাঁটাই করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষ। ইনসেটে মুক্তিযোদ্ধ মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক। ফাইল ছবি।

ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মজিবুল হক চুন্নু। বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।

মোজাম্মেল হক বলেন, যাদের নামে আপত্তি এসেছে, তাঁদের ব্যাপারে যাচাই-বাছাই চলছে। তবে কিছু সংখ্যেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার কারণে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সন্মানজনক আইডি কার্ড এখন পায়নি। তবে আগামী ২৬ মার্চের আগেই মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

সরকারী দলের সেলিম আলতাফ জর্জের পক্ষে উত্থাপিত আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোজাম্মেল হক জানান, দেশের স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার এবং হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘৃণা প্রকাশের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় একটি ঘৃণা স্তম্ভ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রকল্পের জায়গায় নির্বাচনের কাজ চলমান রয়েছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য আনোয়ার আবেদীন খানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি জাতীয় পতাকার মতো রঙ দিয়ে সাজানোর প্রস্তাব খুবই প্রশংসনীয়। বিষয়টি আমরা অবশ্যই বিবেচনা করব। যাতে দূর থেকে দেখেই মানুষ যেন বুঝতে পারে এটি মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি। আগামীতে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা আরো বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।


শর্টলিংকঃ