সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা মনে করছেন, নতুন এই প্রক্রিয়া বাংলাদেশে চালু হলে অনেক কিডনি রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে।
সাধারণত দুইভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন করা যায়। জীবিত মানুষের থেকে এবং ক্লিনিক্যালি ডেড বা ব্রেইন ডেড রোগীর থেকে।

ওই বিশেষজ্ঞ দল ঢাকার পাঁচটি হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন। জানা গেছে কোনো ক্লিনিক্যালি ডেড রোগী পাওয়া গেলে ওই দলটি দেশের কিডনি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তার কিডনি প্রতিস্থাপন করবে।
হাসপাতালগুলো হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), বারডেম, কিডনি ফাউন্ডেশন ও সিএমএইচ। উপমহাদেশে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় ক্লিনিক্যালি ডেড রোগীদের থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন আগে থেকেই হচ্ছে।
সাধারণত দুইভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন করা যায়। জীবিত মানুষের থেকে এবং ক্লিনিক্যালি ডেড বা ব্রেইন ডেড রোগীর থেকে।
তবে কিডনি রোগীর সংখ্যা বেশি থাকায় জীবিত দাতা বা লিভিং ট্রান্সপ্ল্যান্ট থেকে এ ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব নয়। এ কারণে ক্লিনিক্যালি ডেড বা ব্রেইন ডেড রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপনের দিকে চিকিৎসকরা। ১৯৮২ সাল থেকে বাংলাদেশে এই লিভিং ট্রান্সপ্ল্যান্ট শুরু হয়।
মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন (সংশোধন) আইন-২০১৭ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
এ আইনানুযায়ী যদি চিকিৎসকরা কোনো রোগীকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেন এবং ওই রোগীর নিকটাত্মীয়রা যদি রোগীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অন্যকে দেয়ার লিখিত অনুমোদন দেন তাহলে ট্রান্সপ্লান্ট টিম ওই রোগীর শরীর থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে পারবে।
ব্রেইন ডেথ ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনো দাবিদার না থাকলে ঘোষণাকারী হাসপাতালের প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রদানের অনুমতি দিতে পারবেন।
বাংলাদেশে কোরিয়া-কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট টিমের কো-অর্ডিনেটর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. এএসএম তানিম আনোয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে বছরে ৫০০০ কিডনির চাহিদা থাকলেও কিডনি মেলে মাত্র ১২০টি। এই নগণ্য সংখ্যক কিডনি প্রতিস্থাপন করা হতো জীবিত মানুষের শরীর থেকে। যাদের বেশিরভাগই রোগীর নিকট আত্মীয়।
তিনি বলেন, আর যারা কোনো দাতা পান না তাদের ধুকে ধুকে মরতে হয়। না হলে দেশের বাইরে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে চিকিৎসা করাতে হয়। সূত্র: বিবিসি বাংলা