বাঘা প্রতিনিধি :
রাজশাহীর বাঘার সাংবাদিক এসএম সেলিম আহম্মেদের (৩৪) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শুক্রবার দুপুরে তার ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহ বাঘায় নেওয়া হয়। সাংবাদিক সেলিমের মৃত্যুর ঘটনায় মাজেদুর রহমান নামের একজন হোমিও চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সেলিম ভান্ডারি বাঘা উপজেলার মণিগ্রামের মৃত শামসুল ইসলাম ভান্ডারীর ছেলে। তিনি দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার বাঘা উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন।
নিহত সাংবাদিক সেলিম চাচা কায়েম উদ্দিন জানান, ‘বুধবার রাতে বাসায় ফিরে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে সেলিম। বৃহস্পতিবার বেলা ১০টার দিকে তার শারিরীক অবস্থান অবনতি হলে তাকে বাঘা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।’
কায়েম উদ্দিন বলেন, ‘প্রথমে তাকে হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবনতি হলে তাকে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে নেয় চিকিৎসকরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘সেলিম মারা যাওয়ার আগে জানায়- বুধবার রাতে মণিগ্রাম বাজারের নিরাময় হোমিও হলে তাকে বিষাক্ত কিছু খাওয়ানো হয়েছিল। এরপর থেকে তার শরীর খারাপ হতে থাকে।’
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বাঘা থানার ওসি মহাসীন আলী জানান, বিষক্রিয়ায় সাংবাদিক সেলিমের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু আগে চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের কাছে দেয়া জবানবন্দি অনুযায়ী মণিগ্রাম বাজারের নিরাময় হোমিও হলের মালিক ও হোমিও চিকিৎসক মাজেদুর রহমানকে আটক করা হয়েছে।