মেডিকেল বর্জ্য অপসারণে রাসিক’র যুগান্তকারী উদ্যোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রিজম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নিজস্ব কর্মচারীরা মেডিকেল ও ক্লিনিক থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করবে, তাদের ভ্যানে করে প্ল্যান্টে নিয়ে গিয়ে সেখানে পরিশোধন ও অপসারণ করবে। এতে করে সিটি কর্পোরেশনের নাগরিকেরা মেডিকেল বর্জ্যরে কারণে যে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন, সেটা কমে যাবে। স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত থাকবেন নগরবাসী।

       চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন

রাজশাহী নগরীতে মেডিকেল বর্জ্য অপসারণে এবার যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।  আধুনিক  ব্যবস্থাপনায় একাজটি করবে বেসরকারী সংস্থা প্রিজম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। এজন্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও প্রিজম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে নগরভবনে সভাকক্ষে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও প্রিজম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার আনিসুর রহমান স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে সকল মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য এ এমওইউ স্বাক্ষরিত হলো। এটি একটি শুভ সূচনা। প্রিজম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নিজস্ব কর্মচারীরা মেডিকেল ও ক্লিনিক থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করবে, তাদের ভ্যানে করে প্ল্যান্টে নিয়ে গিয়ে সেখানে পরিশোধন ও অপসারণ করবে। এতে করে সিটি কর্পোরেশনের নাগরিকেরা মেডিকেল বর্জ্যরে কারণে যে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন, সেটা কমে যাবে। স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত থাকবেন নগরবাসী।

সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সরিফুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযিম, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমনসহ অন্যান্য কাউন্সিলরবৃন্দ, সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আজাহার আলী, সিটি কর্পোরেশনের সচিব রেজাউল করিম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যসমূহ হলো- স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসূমহের অভ্যন্তরে বর্জ্য সৃষ্টির উৎপত্তিস্থলে বর্জের ধরণ অনুযায়ী নির্দিষ্ট রঙের পাত্রে বর্জ্য পৃথকীকরণ পদ্ধতি প্রচলন, বর্জ্য স্পর্শকালীন নিরাপত্তা গ্রহণ, নিরাপদ বর্জ্য সংগ্রহ ও সাময়িক সংরক্ষণের মাধ্যমে রোগী ও দর্শনপ্রার্থীর স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানো, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মীর মাধ্যমে নিরাপদ বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিবহন নিশ্চিত করণ এবং উক্ত কাজের সহায়ক উপকরণ সরবরাহ করা, এই পদ্ধতি প্রচলনের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ হ্রাসকরণ, স্বাস্থ্যবিজ্ঞানসম্মত ও উপযোগী কেন্দ্রীয় মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট স্থাপন এবং দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মীর মাধ্যমে উন্নয়ন কারিগরি সহায়তায় মেডিকেল বর্জ্যরে যথাযথ ব্যবস্থাপনা করা, ক্ষতিকারক বর্জ্য চূড়ান্ত ব্যবস্থাপনার পর পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে অপসারণ নিশ্চিতকরণ, মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট সকলের পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং মানব তথা প্রাণীকূলের জন্য ক্ষতিকারক ও সংক্রামক বর্জ্যরে কারণে সংগঠিত স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাসকরণ।


শর্টলিংকঃ