অটোরিকশায় করে পাচার হচ্ছিল এক জোড়া গোরখোদক


ইউএনভি ডেস্ক:

চট্টগ্রামে অটোরিকশায় করে পাচারের সময় সংকটাপন্ন প্রজাতির এক জোড়া গোরখোদক উদ্ধার করেছে পুলিশ।সোমবার রাতে নগরীর শাহ আমানত সেতুর বাকলিয়া অংশ থেকে সেগুলো উদ্ধারের সময় দুই পাচারকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গ্রেপ্তার দুজন হলেন- আমজাদ হোসেন ওরফে আমজু (২৬) ও মো. শাকিব (২২)।

বাকলিয়া থানার ওসি আব্দুর রহিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিরল প্রজাতির কোনো প্রাণী পাচার হচ্ছে বলে তথ্য পেয়েছিল পুলিশ। সেই তথ্যের ভিত্তিতে বাকলিয়া থানা পুলিশের একটি দল শহরের দিকে আসা একটি অটোরিকশায় তল্লাশি চালায়। সেখানেই গোরখোদক দুটি পাওয়া যায়।

“গ্রেপ্তার আমজু বণ্যপ্রাণী পাচার চক্রের সদস্য। সে বলেছে, টেকনাফ এলাকা থেকে গোরখোদক দুটি চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন এক ব্যক্তি। মইজ্জ্যার টেক এলাকায় সেগুলো হাতবদল হয়।”গ্রেপ্তার দুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে ওসি রহিম বলেন, গোরখোদক দুটি খুলনায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেখান থেকে বিদেশে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল।

“প্রাণী দুটো পাওয়ার পর আমরা সেগুলো চিনতে পারিনি। পরে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ইউনিটকে খবর দিলে তারা এসে জানায়, সেগুলো গোরখাোদক।”ইংরেজিতে স্তন্যপায়ী প্রাণী এ প্রাণীর নাম হগ ব্যাজার, বৈজ্ঞানিক নাম Arctonyx collaris। নিজেই মাটি খুঁড়ে নিজের বাসা তৈরি করে। জীবজন্তুর পচাগলা মরদেহ খেয়ে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখে। সে কারণে বাংলায় নাম হয়েছে গোরখাোদক, অনেকে ঘরখুদিনি বা ঘরখোন্দকও বলেন।

আগে দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এদের দেখা মিলত। ক্রমান্বয়ে বনভূমি ধ্বংসের কারণে এদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার’ বা আইইউসিএন এর করা লাল তালিকায় এ প্রাণীকে রাখা হয়েছে প্রকৃতিতে ‘সংকটাপন্ন’ প্রজাতির তালিকায়।


শর্টলিংকঃ