আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয়, অধিকার: আইনমন্ত্রী


ইউএনভি ডেস্ক:

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, গরীব ও অসহায় মানুষের আইনগত সহায়তা পাওয়ার সঙ্গে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও সামাজিক সমতা জড়িত। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল যে কোনো নাগরিক আইনগত সহায়তা পাবেন, এটাই স্বাভাবিক।

আইনগত সহায়তা পাওয়া তার প্রতি করুণা নয় বরং এটা তার অধিকার। কারণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানেই গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সামাজিক সুবিচার ও সমতার বিধানাবলি সন্নিবেশ করে গেছেন।

রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ২১ বছর আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মানুষগুলোর আইনগত সহায়তা পাওয়ার অধিকারের প্রতি কেউ দৃষ্টি দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার সরকার গঠন করেই ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’ প্রণয়ন করেন। এতে বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় অস্বচ্ছল ও সহায়-সম্বলহীন নাগরিকদের আইনগত অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।

‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি’ মামলাজট নিরসনের সহায়ক একটি পন্থা হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, জার্মান সরকারের উন্নয়ন সংস্থার সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশের ৮৭ ভাগ মানুষ স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে আগ্রহী এবং শতকরা ৩০ ভাগ নাগরিকের প্রাথমিক দ্বন্দ্বের কারণ প্রতিবেশীর সঙ্গে ছোট-খাটো বিরোধ বা মারামারি, যা স্থানীয়ভাবেই নিষ্পত্তিযোগ্য। এটি খুব আশার কথা হলেও আমাদের স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির হার অতি নগণ্য।

তিনি আরও বলেন, ২০১৫ থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৮৩৬টি বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। লিগ্যাল এইড মানুষের আস্থার প্রতীকের কারণেই এই নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে।

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংস্থার পরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ আল মামুন। অনুষ্ঠানে দু’জনকে সেরা লিগ্যাল এইড অফিসার ও প্যানেল আইনজীবী হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।

 


শর্টলিংকঃ