আধাঘণ্টায় এক কুকুরের কামড়ে ১৮ জন আহত


ইউএনভি ডেস্ক:

ফরিদপুর শহরে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। কুকুরের উৎপাতে অতিষ্ট স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ।সকাল থেকে স্কুল-কলেজের সামনের মোড়ে, হোটেল-বেকারির সামনে এবং পাড়া-মহল্লায় দল বেধে ঝাঁকে ঝাঁকে বেওয়ারিশ কুকুর চলাফেরা করে। স্কুল-কলেজ চলাকালীন সময়ে কুকুরের উপদ্রব কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

এছাড়া অনেক কুকুরের গায়ে পচন ধরে এলাকার পরিবেশ দারুণভাবে দূষণ করে চলেছে। অনেক কুকুরের বাচ্চা দেবার কারণে সামনে দিয়ে গেলেই কামড়ে দেয় পথচারীদের। এমনকি কুকুরের পাশ দিয়ে কোনো মোটরসাইকেল গেলে তাদেরও কামড়ে দিতে পিছু নেয় কুকুরের দল।

দলবদ্ধ কুকুরগুলো রাতে বেলা মানুষের ঘুম কেড়ে নেয়। কুকুরের উপদ্রবে সাধারণ মানুষের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। এদিকে বিজয় দিবসের দিনে ফরিদপুরে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে একটি পাগলা কুকুর ১৮ জন পথচারীকে কামড় দিয়েছে। সোমবার সকাল পৌনে ১০টা থেকে সোয়া ১০টার মধ্যে শহরের লক্ষ্মীপুর মহল্লার রেল স্টেশন সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে ওই কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। কুকুরের উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে পৌর মেয়রের সুদৃষ্টি কামনা করেছে পৌরবাসী।

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. আনসার আলী জানান, ওই কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে ১৮ জন রোগী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন।

আহতরা হলেন- এমএ রাজ্জাক, ঝিলু, হযরত, রাতুল, দেলোয়ার, মিরা, পল্লব বিশ্বাস, ফয়সাল, সাইদুর, নয়ন, শেখ সবুজ, সাকিব, ইদ্রিস আলী, সজিব, সুমন, হিরু শেখ, রবিউল মৃধা ও জাহাঙ্গীর।

আহত এমএ রাজ্জাক জানান, সকালে তিনি স্টেশন রোডে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় কালো রঙের একটি পাগলা কুকুর তার পায়ে কামড় দেয়। কুকুরটি কামড় দিয়ে ধরে রাখায় ছাড়াতে কয়েক মিনিট লেগে যায়।

ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রবিউল মৃধা জানায়, স্কুল গেটে প্রবেশের সময় কুকুরটি তাকে কামড়ায়। এদিকে কুকুরের কামড়ে আহতদের প্রাথমিক ইনজেকশন হিসেবে রেবিক্স ভিসি বিনামূল্যে দেয়া হলেও গুরুতর আক্রান্তদের জন্য রেবিক্স আইজির সাপ্লাই নেই।

প্রায় তিন হাজার টাকা মূল্যের এই রেবিক্স আইজি ইনজেকশন বাইরে থেকে কিনে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানান সিনিয়র স্টাফ নার্স আনসার আলী। সকালে আক্রান্ত ১৮ জনের অধিকাংশই গুরুতর বলে তিনি জানান।


শর্টলিংকঃ