ইউনিভার্সালের খবরে শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাতিকে চাকরি দিচ্ছেন মেয়র লিটন


নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহীর শহীদ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক এমএ সাঈদের দ্বিতীয় ছেলে আলমগীর হোসেন বাবলুর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। শহীদ সন্তান চা বিক্রেতা বাবলুর পারিবারে সার্বিক খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তার এক ছেলেকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে চাকরি দেবেন মেয়র লিটন।

গত ১৪ ডিসেম্বর রাজশাহীর জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল ইউনিভার্সাল২৪নিউজে ‘ফুটপাতে চা বিক্রি করছেন শহীদ বুদ্ধিজীবীর ছেলে‘ শিরোনামে একটি বিশেষ সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের নজরে আসে।
মেয়রের নির্দেশে মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর একান্ত সচিব মোঃ আলমগীর কবির ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান মিশু নগরীর মালদা কলোনিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী এমএ সাঈদের সন্তান বাবলুর বাড়িতে যান।

এ সময় তারা বাবলুসহ পরিবারের সদস্যদের জানান, মেয়র দাপ্তরিক কাজে ঢাকা গেছেন। তিনি ঢাকা থেকে ফিরে এসে বাবলুর এক ছেলেকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন এবং শহীদ পরিবারেরই পাশে থাকবেন।

আলমগীর হোসেন বাবলু বলেন, বিভিন্ন সময় অনেকে খোঁজখবর নিয়েছেন। কিন্তু কেউ তেমন কিছু করেন নি। তবে এবার মেয়র মহোদয় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের লোকজন পাঠিয়ে আমার পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং আমার এক ছেলে চাকরি ব্যবস্থা করে দেবেন, এতে আমার পরিবারের সবাই খুশি।

উল্লেখ্য, আলমগীর হোসেন বাবলু নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনালের ফুটপাতে চা বিক্রি করে সংসার চালান। তার বাবা শহীদ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক এমএ সাঈদ দেশ স্বাধীনের সময় তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। রাজশাহীতে আর্ট কাউন্সিল বর্তমানে পদ্মা মঞ্চ ও রাজশাহী প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন তিনি। বেতার প্রতিষ্ঠাকালে সংবাদ পাঠক ও অভিনেতা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনী তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা হলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে হত্যা করা হয়। পরে লাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বধ্যভূমিতে ফেলে দেওয়া হয়।


শর্টলিংকঃ