ইবির শেখ রাসেল হলে ওয়াইফাই সংযোগের দাবি শিক্ষার্থীদের


মুনজুরুল ইসলাম নাহিদ,ইবি:
বিশ্বায়নের এই যুগে বিশ্বকে হাতের মুঠে এনে দিয়েছে ইন্টারনেট।ইন্টারনেট ব্যতীত মানুষ যেনো চোখ থাকতেও অন্ধ।জ্ঞান-বিজ্ঞান, পড়ালেখা, যোগাযোগ ও বিনোদনের সবই এখন এখানেই। আর একে সীমাহীনভাবে উপভোগ করা যায় ওয়াইফাই সেবার মাধ্যমে। তাই শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ই ওয়াইফাই সেবার ব্যাবস্থা করে থাকে।


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। তবে অন্য সব আবাসিক হলে ওয়াইফাই ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। সেবা না পেলেও প্রতিমাসে এর জন্য নির্দিষ্ট টাকা দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

সদ্য নির্মিতহলটি পাঁচ মাস পূর্বে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে। কিন্তু এখনো হলটিতে ওয়াইফাই সংযোগ দেওয়া হয়নি।হল প্রশাসনের কাছে প্রতিনিয়ত দাবি করে আসলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই হলটিতে ওয়াইফাই সংযোগ শিক্ষার্থীদের এখন প্রধান দাবি।

হল সূত্রে জানা যায়, এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন এ আবাসিক হলটি খুলে দেওয়া হয়। কোনো প্রকার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া শিক্ষার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে হলে সিট বরাদ্দ দেয় হল প্রশাসন। সম্পূর্ন নতুন স্থাপত্য শৈল্পিক আঙ্গিকে তৈরী হলটি বিশ^বিদ্যালয়ের সবচেয়ে আধুনিক হল হবার দাবি রাখলেও ইন্টারনেট ব্যবস্থা ব্যতীত তা প্রশ্নবিদ্ধ।

শিক্ষার্থীরা জানায়, শুরু থেকেই দাবি জানিয়ে আসলেও কোনো এক অজানা কারনে তা বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় যখন শিক্ষা উপকরণের অনেকটাই অনলাইন নির্ভর তখন ওয়াইফাই সেবা না থাকলে শিক্ষার্থীদের জন্য তা খুবই ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। অর্থ ব্যয় করে অনলাইন থেকে পড়াশুনা করতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে অস্বচ্ছল আবাসিক শিক্ষার্থীদের।


হলের আবাসিক ছাত্র ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আনিছুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলে ওয়াইফাই নেই এটি এখন ভাবা যায় না। আমরা হলে উঠার পর থেকেই দাবি জানিয়ে আসছি কিন্তু বারবার শুধু আশ্বস দেওয়া হচ্ছে কিন্তু সংযোগ দেওয়া হচ্ছেনা। যত দ্রুত সম্ভব হলে ওয়াইফাই সংযোগ দেয়া হোক এটাই আমাদের চাওয়া।

ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী বলেন, ‘হলে ওয়াইফাই না থাকায় আমাদের এসাইনমেন্ট প্রেজেন্টেশনের জন্য তথ্য নিতে লাইব্রেরীতে যেতে হয় বা অন্য হলে যেতে হয়। মোবাইল ডাটা ব্যাবহার করাটা অনেকটা কষ্টসাধ্য।’

হলে অবস্থানরত ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘আবাসিক হলে ওয়াইফাই ব্যাবস্থা শিক্ষার্থীদের অধিকার। আমরা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম, দ্রুতই সংযোগ দেওয়া হবে বলে তারা আমাদের আশ^স্থ করেছে। ঈদের পরও যদি সংযোগ দেওয়া না হয় আমরা আমাদের জায়গা থেকে আবারো দাবি জানাবো এবং প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে ব্যাবস্থা করার চেষ্টা করব।

এবিষয়ে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মিয়া মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘ওয়াইফাই সংযোগ নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিল পাশ হয়েছে। আইসিটি সেলে বিলটা ট্রান্সফার করলেই হলে সংযোগ দেওয়া হবে। আইসিটি সেল যত দ্রুত কাজ করবে তত দ্রুত কাজ হবে।’


শর্টলিংকঃ