ইউএনভি ডেস্ক:
পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদ নামের এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।ফখরুদ্দিন জেলার লাকসাম উপজেলার বাকই গ্রামের বাসিন্দা বলে । তবে তিনি রাজধানীর খিলগাঁও আবাসিক এলাকায় বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদ পুলিশের ডিআইজি, পুলিশ সুপার (এসপি), অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে অন্তত এক ডজন ভুক্তভোগী কুমিল্লা জেলা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন। সর্বশেষ কনস্টেবল নিয়োগে কুমিল্লায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে আশফাক আহমেদ নামে এক চাকরি প্রার্থীর বাবা সাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ওই প্রতারক।
আশফাক আহমেদের মত তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন রেজাউল করিম, আনোয়ারুল ইসলামসহ বেশ কয়েক ব্যক্তি। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার গাড়ি চালক ও সহযোগী শরিয়তপুর জেলার বাসিন্দা রুবেল সর্দারকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকাল ১১টার জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই প্রতারক জানিয়েছে, সে ১৯৯১ সালে এসআই পদে পুলিশে যোগাদানের পর শিক্ষানবিশ অবস্থাতেই এক লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অপরাধে চাকরিচ্যুত হয়।
এরপর ২০০০ সালে সে ডিবি পরিচয়ে ছিনতাইকালে তৎকালীন ডিএমপি ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। এরপর সাত মাস জেল খেটে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত হয়। তারপর থেকে সে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসছে।
তিনি আরও জানান, প্রতারক আজাদ স্থান বুঝে নিজেকে ডিআইজি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত সুলিশ সুপার আবার কখনও সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবেও পরিচয় দিতো। প্রতারক আজাদের বিরুদ্ধে আরো একাধিক একাধিক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন প্রমুখ।
আরও পড়ুন নারী নির্যাতন মামলায় এসআই কারাগারে
