কীভাবে বিধ্বস্ত হল মার্কিন সামরিক বিমান?


ইউএনভি ডেস্ক:

মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন বলছে, আফগানিস্তানের তালেবান তাদের বিমান গুলি করে বিধ্বস্ত করেনি। যদিও বিমান বিধ্বস্তের দায় স্বীকার করে নিয়েছে তালেবান।

এ দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা সব যাত্রীই নিহত হয়েছেন। তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, নিহতদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ-পদমর্যাদার কর্মকর্তাও রয়েছেন। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১০ মিনিটে দিহ ইয়াক জেলায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।-খবর মেইল অনলাইনের

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, তাদের কাছে এমন কোনো আভাস নেই যে শত্রুদের তৎপরতায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।এক কর্মকর্তা বলেন, ছোট্ট সামরিক বিমানটিতে ১০ জনেরও কম সংখ্যক যাত্রী ছিলেন। অনলাইনে পোস্ট করা ফুটেজে দেখা গেছে, তালেবানসংশ্লিষ্ট এক সাংবাদিক বিমানটির ধ্বংসস্তূপ প্রদর্শন করছেন। বিমানটিতে মার্কিন বিমান বাহিনীর লোগো রয়েছে।

সাংবাদিক তারিক গাজনিওয়াল দেখিয়েছেন, বিমানের দগ্ধ দেহাবশেষ তুষারের ওপর পড়ে আছে। চারপাশে লোকজন দাঁড়িয়ে তা দেখছেন ও ভিডিও করছেন।বিমানটির অধিকাংশই পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। কিন্তু ইঞ্জিনের ওপর ইউএসএফের লোগে এখনো রয়ে গেছে। বিমানটি বোমবারডিয়ার ই-১১এ হতে পারে। আফগানিস্তানের বৈদ্যুতিক নজরদারি করতে এটি ব্যবহার করতো মার্কিন বাহিনী।

মার্কিন বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে ড্রোনের পাশাপাশি কাজ করতো অতি-বিশেষায়িত এই বিমান। হামলার সময় এই বিমানের ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সোন্নি লেগেট নিশ্চিত করে বলেন, বিমানটি ছিল ই-১১এ বোম্বারডিয়ার। আকাশপথে যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো এটি।

তিনি জানান, বিমানটি বিধ্বস্তের কারণ নিয়ে তদন্ত চলছে। কিন্তু এটি শত্রুদের গুলিতে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে কোনো প্রমাণ নেই।মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র মেজর বেথ রিওর্ডেন বলেন, কী কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার না।

আফগান কর্মকর্তারা শুরুতে বলেছিলেন, এটি বোয়িংয়ের যাত্রীবাহী বিমান। যার মালিক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আরিয়ানা ওয়ারলাইনস। পরবর্তীতে তারা এই দাবি অস্বীকার করেছে।


শর্টলিংকঃ