কুয়েতের নতুন আমিরের নাম ঘোষণা


ইউএনভি ডেস্ক:

শেখ নওয়াফ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কুয়েতের আমির হিসেবে ক্রাউন প্রিন্স মেশাল আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ৮৩ বছর বয়সী শেখ মেশাল বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে পরিচিত। নওয়াফের মৃত্যুর পর মেশালই আমির হবেন তা আগে থেকেই আলোচনার শীষে ছিল।কুয়েতের উপপ্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার মন্ত্রী শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) নতুন আমির হিসেবে শেখ মেশালের নাম ঘোষণা করেন।

অবশ্য, নাওয়াফ অসুস্থ থাকায় কুয়েতের রাষ্ট্রীয় বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছিলেন ক্রাউন প্রিন্স মেশাল। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেছিলেন। কুয়েতের সংসদ ভেঙে দেওয়ার মতো ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি। ২০২০ সালে মেশালকে যখন ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণার সময় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। কারণটা ছিল তার বয়সের। কুয়েতের শাসকরা পরবর্তী প্রজন্মের হাতে এখনই শাসনভার দিতে রাজি নয় বিদায় মেশালকে ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করা হয়েছিল। ৮৬ বছর বয়সে শনিবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমান আমির শেখ নওয়াফ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহ। খালিজ টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, কুয়েতের আমির-ই দেওয়ান তাদের শাসকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

কুয়েতের আমির-ই দেওয়ান একটি বিশেষ মন্ত্রণালয়। যার দায়িত্ব পালন করছেন শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুবারক আল সাবাহ। আমির শেখ নওয়াফ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত ২৯ নভেম্বর কুয়েতের আমিরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।

কুয়েতের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনও এক বিবৃতিতে আমিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। গণমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে কুয়েত রাজ্যের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহ-এর মৃত্যুতে আমরা শোক প্রকাশ করছি। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কুয়েতের আমির হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন শেখ নওয়াফ। এর আগে দেশটির শাসক ছিলেন শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ (৯১)। তিনি ছিলেন শেখ নওয়াফের সৎ ভাই।

উল্লেখ্য, কুয়েতের সার্বভৌম ক্ষমতা শাসক আল সাবাহ পরিবারের হাতেই থাকে। ফলে তাদের স্বাস্থ্য দেশের জন্য সংবেদনশীল বিষয়। বিষয়গুলো নিয়ে সচরাচর আলোচনা হয় না।

এক নজরে শেখ নওয়াফ

২০০৬ সালে ক্রাউন প্রিন্স মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। সৎ ভাই শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-সাবাহ তাকে মনোনীত করেছিলেন। শেখ নওয়াফ কুয়েতের অভ্যন্তরীণ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। শাসন ক্ষমতা হাতে নেওয়ার পর তাকে বিশেষভাবে সক্রিয় হিসেবে দেখা যায়নি।


শর্টলিংকঃ