‘কোন ওষুধে করোনামুক্তি’, জানালেন ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট


ইউএনভি ডেস্ক:

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো করোনা নেগেটিভ হয়েছেন। ৬৫ বছর বয়সী এই রাষ্ট্রপ্রধান শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। করোনায় সময় তিনি কোন ওষুধ গ্রহণ করেছেন সেটিও জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।


শনিবার বোলসোনারো নিজেই ফেসবুক পোস্টে জানান, তিনি করোনার সময় ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ব্যবহৃত ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন গ্রহণ করেছেন। তিনি নিজের করোনামুক্তির জন্য এ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনকে ধন্যবাদ জানান।

পোস্টে তিনি হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন একটি বক্সের ছবিও জুড়ে দেন। ম্যালেরিয়ার এই ওষুধ ব্রাজিল-যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এটি করোনার চিকিৎসার শতভাগ অব্যর্থ ওষুধ কিনা সেটি নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও করোনার সর্বজনবিদিত কোনো ভ্যাকসিন বা টিকা উদ্ভাবনের কোনো ঘোষণা এখনও দেয়নি।

গত ৭ জুলাই করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর বোলসোনারো প্রেসিডেন্ট ভবনে ‘আংশিক’ আইসোলেশনে যান। তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দাফতরিক কার্যক্রমে অংশ নেন। মাঝে মাঝে বাসভবনের বাইরেও এসেছেন। কয়েক দিন আগে কিছুটা দূরে অবস্থান করে একটি সমাবেশে অংশ নেয়া তার সমর্থকদের প্রতি শুভকামনা জানান। সে সময় তিনি কিছু সময়ের জন্য মাস্কও খুলে ফেলেন। এ নিয়ে তার তীব্র সমালোচনা হয়।

অবশ্য সমালোচনাকে থোরাই তোয়াক্কা করেন বোলসোনারো। শুরু থেকেই তিনি করোনার গায়ে ‘সাধারণ ফ্লু’ তকমা লাগিয়ে দেন। প্রেসিডেন্ট হয়েও মাস্ক পরতেন না। সমাবেশ করে বেড়াতেন। প্রেসিডেন্ট মাস্ক না পরলে জরিমানা করা হবে এমন আদেশও দিতে বাধ্য হন দেশটির আদালত।

এমনকি লকডাউন নিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বে ব্রাজিলের দুই-দুজন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এখনও স্থায়ী স্বাস্থ্যমন্ত্রী পাননি ব্রাজিলিয়ানরা। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দেশটির দুই মন্ত্রী।

৭ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত তিন দফায় ব্রাজিল প্রেসিডেন্টের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যার সবগুলোতে ফল পজিটিভ এসেছিল। পরের পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ ফল আসে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজের করোনামুক্তির কথা জানালেও কখন তার চতুর্থ পরীক্ষা হয়েছে বোলসোনারো এ ব্যাপারে কিছু জানাননি।

করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। ওয়ার্ল্ডওমিটারসের সবশেষ তথ্যে বলা হয়েছে, রোববার সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত দেশটিতে ২৩ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৮৬ হাজার ৪৯৬ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৪৮০ জন। এখনও শয্যাশায়ী ৬ লাখ ৯২ হাজার ৪৫৮ জন।


শর্টলিংকঃ