গাছে পাকছে আম, ঈদের অপেক্ষায় চাষীরা


আবু হাসাদ কামাল, পুঠিয়া :

মধু মাস জৈষ্ঠ্যের প্রথম দিনে আমের আকারভেদে আইনি জটিলতা কেটেছে। তবে রাজশাহী জেলার সবচেয়ে বড় আমের হাট পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মাঠে এখনো পুরোপুরি কেনা-বেচা শুরু হয়নি।

অনেক বাগান থেকেই ভেসে আসছে আমের সু-মিষ্ট ঘ্রাণ। ছড়িয়ে যাচ্ছে আশপাশের এলাকাগুলোতেও। বেশীরভাগ আম চাষীরা আর কয়েকটি দিন অপেক্ষা করতে চাচ্ছেন। তারা আশা করছেন ঈদের পর আমের বাজার পুরোদমে জমে উঠবে এবং বেশি দামে বিক্রি হবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নতুন ও পুরাতন মিলে উপজেলায় মোট ৮শ’ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। গত মৌসুমে আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল প্রায় ৪ হাজার ৫০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে উৎপাদন হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিক টন আম।

এ বছর গাছে গাছে ব্যাপক আমের কুড়ি দেখা দিয়েছিল। কিন্তু মৌসুমের শুরুতে দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়ায় বেশীর ভাগ বাগানে আমের পরিমান অনেক কম।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে জেলার সর্ববৃহৎ আমের মোকাম বানেশ্বর বাজার কাছারিমাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্নপ্রকার আটি জাতীয় আম কেনা-বেচা চলছে।

আম আড়ৎদার মারুফ আহম্মেদ বলেন, পুঠিয়া, দুর্গাপুর, বাগমারা, বাঘা, চারঘাট, নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বাগান মালিকরা আম বিক্রি করতে আসেন বানেশ্বর হাটে। এছাড়া বিড়ালদহ বাজার, বেলপুকুর, শাহবাজপুর, শিবপুরহাট এলাকা গুলোতেও অস্থায়ীভাবে আমের বাজার বসেছে।

তবে অনেক আম চাষীরা ঈদের পর পাড়বেন। যার কারণে এ বছর আমের বাজার এখনো পুরোপুরি জমে ওঠেনি। বর্তমান বাজারে আমের প্রকারভেদে প্রতিমণ আম এক হাজার থেকে প্রায় দু’হাজার ৫শ’টাকা দরে কেনা-বেচা হচ্ছে।

এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ওলিউজ্জামান বলেন, আম আড়ৎগুলোতে সার্বক্ষণিক আমাদের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। কোথাও কোনো অনিয়মের খবর পেলে তাৎক্ষণিক আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া কোন আম কখন পাড়তে হবে তার একটি দিক নির্দেশনা ক্রেতা-বিক্রেতাদের দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, মে মাসের শুরুতে রাজশাহী জেলা প্রশাসক স্থানীয় বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের কয়েকটি ধাপে আম ক্রয়-বিক্রয়ের নিদের্শনা দেন। সে নির্দেশনা মোতাবেক গত ১৫ মে থেকে আটি বা গুটি জাতীয় আম পাড়া শুরু হয়েছে।

গোপালভোগ আগামী ২ মে, রানী প্রসাদ ও লক্ষণ ভোগ ২৫ মে, হিমসাগর ২৮ মে, ল্যাংড়া ৬ জুন, আম্রোপালি ও ফজলি ১৬ জুন এবং আশ্বিনি আমপাড়া শুরু হবে ১ জুলাই থেকে।


শর্টলিংকঃ