গোদাগাড়ীতে বাল্যবিবাহ বন্ধ : কাজীর জেল


গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ

বাল্য বিয়ে পড়ানোর অপরাধে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে শিররুল হুদা (৪৫) নামের এক কাজীকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। দুপুরে মাটিকাটা ইউনিয়নের রাইয়াপুর গ্রামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল ইসলাম সরকার এ কারাদন্ড প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত কাজী মাটিকাটা গ্রামের মৃত মন্জুর রহমানের ছেলে।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে,মাটিকাটা ইউনিয়নের রাইয়াপুর ও কৃষ্ণবাটি গ্রামে শুক্রবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল ইসলাম সরকার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ ইমরানুল হক দুটি বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দেন।উপজেলার বিদিরপুর সরকারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী, রাইয়াপুর গ্রামের এনারুল ইসলামের মেয়ে মিম (১১) ও সোনাদিঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী কৃষ্ণবাটি গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে রেশমি খাতুন (১৪) ।

গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল ইসলাম সরকার জানান, আমি বাল্য বিবাহের সংবাদ পেয়ে দুপুরে বিয়েবাড়ী গিয়ে বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দিয়েছি। অন্যদিকে একই ইউনিয়নে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরেকটি বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দেন। বিয়ে বাড়ীর খাবার স্থানীয় মসজিদ ও এয়াতিম খানায় বিতরণ করে দেওয়া হয়। আর মিম খাতুনের বাল্য বিয়ে পড়ানোর কাজটি করেন কাজী শিররুল হুদা ।

পরে গোপন সংবাদ পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে সেখানে কাজীকে এক বছরের জেল প্রদান করে। তিনি আরো জানান, এ সময় পাত্র ও তার বাবা পালিয়ে যায়। এবং মাজিস্ট্রেটের উপস্থির খবর পেয়ে রেশমি খাতুনের বর পক্ষের লোকজন আসেনি। মেয়ের ও তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে অঙ্গিকার নিয়েছি ১৮ বছর পূর্ণ না হলে বিয়ে দিবে না।


শর্টলিংকঃ