গোদাগাড়ী থানার ওসির হঠাৎ বদলি


নিজস্ব প্রতিবেদক:

হঠাৎ করেই রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ওসি খাইরুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে। এই থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় ৫ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে একজন মাদক বহনকারীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন অবস্থায় ওসির বদলির আদেশ হলো।

রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন মঙ্গলবার ওসি খাইরুল ইসলামের বদলির আদেশে স্বাক্ষর করেন। তাকে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। আর খলিলুর রহমান নামে একজন পুলিশ পরিদর্শককে গোদাগাড়ী থানার ওসি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। বুধবার তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

খলিলুর রহমান এর আগে কিশোরগঞ্জে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি রাজশাহী বদলি হয়ে আসেন। এরপর জেলা পুলিশেই সংযুক্ত ছিলেন। এরই মধ্যে তাকে রাজশাহীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই থানায় পাঠানো হলো। এ থানায় ওসি খাইরুল যোগ দিয়েছিলেন এক বছর আগে।

রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম তার বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার ওসি খাইরুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে। বুধবার তিনি নতুন ওসিকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন। এখন তিনি ডিবি পুলিশে যোগ দেবেন। এক প্রশ্নের জবাবে এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, এটা নিয়মিত বদলি। বদলির পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই।

প্রসঙ্গত, রফিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে পুলিশের ৫ জন সদস্যের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। খুনের অভিযোগ ৫ জনের মধ্যে তিনজন এসআই এবং দুজন কনস্টেবল।

৮ মাস আগে গোদাগাড়ীর পদ্মার চর থেকে রফিকুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় পুলিশের এই পাঁচ সদস্য গোদাগাড়ী থানায় কর্মরত ছিলেন। আর থানার ওসির দায়িত্বে ছিলেন সদ্য বদলি হওয়া পরিদর্শক খাইরুল ইসলাম।

রফিকুল হত্যা মামলায় গ্রেফতার ইসহাক আলী ইসা নামের এক মাদককারবারি সম্প্রতি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, রফিকুল তার হেরোইন আনছিলেন। কিন্তু এই হেরোইনসহ রফিকুলকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুলিশের সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু অভিযানে গিয়ে পুলিশের পাঁচজন সদস্য রফিকুলকে হত্যা করেন এবং ৪০০ গ্রাম হেরোইন আত্মসাৎ করেন।

ইসার এমন স্বীকারোক্তির পর পিবিআই আরও গুরুত্ব দিয়ে মামলাটির তদন্ত করছে। রাজশাহী জেলা পুলিশও তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি আলাদা করে তদন্ত করে দেখছে।


শর্টলিংকঃ