চিনিকলের দূষণে নওগাঁ’র ছোট যমুনায় মড়ক


কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ :

জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান বলেছেন, ইতিমধ্যে জয়পুরহাট চিনিকল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন। তবে তারা সম্পূর্ণ সুগারমিলের গাদ ফেলার কথা অস্বীকার করেছেন। জেলা প্রশাসক নওগাঁ জেলা মৎস্য বিভাগকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পানি দুষণের মুল কারণ উদঘাটনপূর্বক রিপোর্ট দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

পানি দূষণের কারণে মড়ক লাগা মাছ শিকারে ব্যস্ত স্থানীয়রা  

জয়পুরহাট সুগারমিলের বিষাক্ত গাদের প্রভাবে নওগাঁ’র ছোট যমুনা নদীর পানি মারাত্মক দূষণের শিকার হয়েছে। ফলে নদীর মাছ এবং জলজ প্রাণি মারাত্মক মড়ক দেখা দিয়েছে। এতে বিশেষ করে মৎস্য সম্পদের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। পানি হঠাৎ করে বিবর্ণ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়েছে  পরিবেশ।

গত দুইদিন ধরে হঠাৎ করে নওগাঁ’র ছোট যমুনা নদীর পানিতে দুষণ দেখা দেয়। দুষিত গাদ নদীর উজান থেকে যতই ভাটার দিকে নেমে যেতে থাকে মাছের মড়কও তেমনই নদীর উজান থেকে ধীরে ধীরে তা ভাটার দিকে নেমে যেতে থাকে।

এর দুষণের প্রভাবে প্রথমে মাছ অসুস্থ হয়ে ভেসে উঠে এবং পরবর্তীতে মারা যেতে থাকে। নদীর দু’ধারের শত শত মানুষকে এসব অসুস্থ ও মৃত মাছ ধরতে দেখা গেছে। দিনভর মাছ শিকার করছেন বহু মানুষ। রাতের বেলা মশালের আলো, হারিকেনের আলো এমন কি মোবাইলের আলো দিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত মাছ ধরতে দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, এর আগে প্রতি বছর জয়পুরহাট সুগারমিলের দুষিত গাদের প্রভাবে নওগাঁ ছোট যমুনা নদীর পানি দুষণের ফলে মাছের মড়ক দেখা দেয়।  পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয় যা ফসল উৎপাদনসহ প্রাত্যহিক গৃহস্থালি কাজের মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। সে সময় স্থানীয় একুশে পরিষদসহ পরিবেশ নিয়ে যেসব সংগঠন কাজ করে তারা একযোগে মানববন্ধন, প্রতিবাদসভাসহ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলে।

এর ফলে গত ৩/৪ বছর বিষাক্ত গাদ ফেলা বন্ধ থাকায় এই দুষন বন্ধ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এ বছর পানি দুষনের ঘটনা পুনরায় নওগাঁবাসীকে আতঙ্কিত করে তুলেছে।

এ ব্যপারে জয়পুরহাট সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম জিয়াউল ফারুক বিষয়টি সম্পূর্ন অস্বীকার করে বলেছেন গত ৮ ফেব্রুয়ারী থেকে মিল বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া মিলে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। ফলে বিষাক্ত গাদ নওগাঁ’র ছোট যমুনা নদীতে যাওয়ার কোন কারন নেই।


শর্টলিংকঃ