ইউএনভি ডেস্কঃ
কক্সবাজারের টেকনাফে মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। তবে এর আগে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাহালিয়া পাড়ার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ওই ছাত্রীর পরিবার জানায়, গত ৮ আগস্ট বেলা ৩টার সময় বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশে মেয়েটি ঘর থেকে বের হয়। এরপর গাড়ির জন্য উত্তর লেঙ্গুরবিল এলাকার রাস্তায় অপেক্ষা করার সময় একই এলাকার বখাটে ইসমাইল (২৩) তার গতিরোধ করে জোরপূর্বক টমটম গাড়িতে উঠিয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়কের দিকে নিয়ে যায়।
পরে উত্তর লম্বরীর নুরুল আবছার ও জাহালিয়া পাড়ার আবদুল আমিনসহ তিনজন মিলে ওই ছাত্রীকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাসে অন্যদিকে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে তাকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে মারধর ও তিনজন একাধিকবার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ছাত্রীটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। জ্ঞান ফেরার পর অভিযুক্ত আবদুল আমিন উত্তর লেংগুর বিল এলাকার মো. হোছাইন ওরফে অলু নামের এক ব্যক্তির কাছে মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যায়।
পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মুমূর্ষ অবস্থায় মেয়েটিকে গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান।
পুলিশ জানায়, হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার সকালে ভিকটিমের পরিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার রাত ১০টায় টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের একটি দল ভিকটিমের বাড়িতে ছুটে যায়।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফয়সাল জানান, ‘এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে ভিকটিমের পরিবার একটি মামলা দায়ের করেছে। ধর্ষণ সংক্রান্ত পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।’