দুই শিক্ষক দিয়ে চলছে আড়াশ’ শিক্ষার্থীর পাঠদান


নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর:

দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার মৌলভীর ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র দুইজন শিক্ষক দিয়েই চলছে ছয়টি শ্রেণির ২ শো ৬৫ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান। এতে প্রাথমিক স্তরের ব্যাহত হচ্ছে সঠিক পাঠদান প্রক্রিয়া।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে ৫টি পদ থাকলেও আছেন শুধু দুই জন। একজন প্রধান শিক্ষক এবং একজন সহকারী শিক্ষক কর্মরত। অভিভাবকরা বলছেন- পার্শ্ববর্তী যেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক বেশি রয়েছে, সেখান থেকে শিক্ষক সমন্বয় করে শিক্ষক স্বল্পতা নিরসনে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

এরআগে চারজন শিক্ষক কর্মরত থাকলেও দায়িত্বে অবহেলা স্বেচ্ছাচারিতা ও অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ায় তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৭ সালের মার্চ মাসে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বদলি করা হয়। পরে কুড়িগ্রাম জেলা থেকে গত বছরের এপ্রিল মাসে একজন প্যানেল শিক্ষিকা নিয়োগ দেওয়া হয়।

স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ২০১৭ সালে সেপ্টেম্বরে কুড়িগ্রামের সকল প্যানেল শিক্ষককে নিজ জেলায় প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এরপর হতে দু’জন শিক্ষক দিয়ে ২৬৫ জন শিক্ষার্থীর প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি হতে পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান চলমান আছে।

জানতে চাইলে স্কুরের প্রধান শিক্ষক খন্দকার হাবিবুর রহমান বলেন, স্কুলের প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষক স্বল্পতা। যা ইতিমধ্যে ঊধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

তিনি জানান, দুই জন শিক্ষক দিয়ে অফিসিয়াল কাজ, উপবৃত্তি, শিশু জরিপ, স্কুল ফিডিং কর্মসূচির বিস্কুটের হিসাব প্রতিদিন হালনাগাদসহ ছয়টি শ্রেণির পাঠদান সামলানো খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

সহকারী শিক্ষা অফিসার খয়েরপুকুর ক্লাস্টার আল-সিরাজ বলেন, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা অনেক। মাত্র দু’জন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয় চালানো অসম্ভব। শিক্ষক সংকট নিরসনে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।

পার্বতীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত আছি। তবে নতুন শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত সমস্যা সমাধান জটিল। মূলত ওখানে চারজন শক্ষিক ছিল দু’জনকে প্রশাসনকি বদলি করা হয়।

 


শর্টলিংকঃ