দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা


বাঘা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাঘা থানায় মানবজমিন ও গণকণ্ঠ পত্রিকার বাঘা প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। প্রণয়ঘটিত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিনা অনুমতিতে কলেজছাত্রী ও তার বন্ধুর ছবি তোলার অপরাধ এবং সেই ছবি পত্রিকায় ছাপানোর হুমকি দিয়ে উৎকোচ নেওয়ায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, নাটোর সদর থানার কাঠালবাড়ীয়া গ্রামের আলমঙ্গীর হোসেনের দায়ের করা অভিযোগে জানা গেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তার মামা মুকুল হোসেন বাঘা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে কলেজপড়ুয়া বান্ধবীকে সাথে করে বেড়াতে এসে স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়।

সে সময় মানবজমিন পত্রিকার বাঘা প্রতিনিধি ও বাঘা রিপোটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম ইসলাম দিলদার এবং গণকন্ঠ পত্রিকার বাঘা প্রতিনিধি ও বাঘা রিপোটার্স ক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাবিল উদ্দিন পরিচয় দিয়ে ভিকটিমের অনুমতি না নিয়ে ছবি তুলে ।

এদিকে খবর পেয়ে বাঘা থানা পুলিশ রাত ৮ টার দিকে ভিকটিমদের থানায় নিয়ে আসলে থানা গেটের পার্শ্বে ছেলের মামা আলমগীর হোসেন ও তার ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে পত্রিকায় ছবি ছাপানোর হুমকি দিয়ে পাঁচ হাজার টাকা উৎকোচ নেয় ওই দুই সাংবাদিক।

একই সাথে কলেজছাত্রীর দুলাভাইকেও টাকার জন্য রাতে ফোন করে হুমকি দেয় তারা। নিরুপায় হয়ে ছেলের মামা আলমগীর হোসেন ওই দুই সাংবাদিকের নামে ইচ্ছের বিরুদ্ধে ছবি তোলা এবং চাঁদা নেয়ার অভিযোগ এনে বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, এখানে দুইটা প্রেসক্লাব। এর মধ্যে রিপোটার্স ক্লাবের কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগের অন্ত নাই। সম্প্রতি বাল্যবিয়ের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি মামলায় ওই সংগঠনের তিন সাংবাদিক প্রায় একমাস হাজত খেটে জামিনে এসেছে।

সর্বশেষ ওই ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম ইসলাম দিলদারসহ পূর্বের মামলায় অন্তর্ভুক্ত হাবিলের নামে আবারও চাঁদাবাজির মামলা দিয়েছেন এক ভুক্তভোগী। তবে এ মামলা দায়েরের পর থেকে ওই দুই সাংবাদিক পলাতক রয়েছেন বলে উল্লেখ করেন ওসি।


শর্টলিংকঃ