ধান কাটতে গেলেন গোদাগাড়ীর শতাধিক শ্রমিক


গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:

করোনা ভাইরাসের কারণে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিসের প্রত্যয়ন নিয়ে অনান্য জেলা বা উপজেলায় ধান কাটতে যাচ্ছেন গোদাগাড়ী উপজেলার কৃষি শ্রমিকরা। রবিবার পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে থেকে অনুমতি নিয়েছেন প্রায় দেড় শাতাধিক শ্রমিক।

ধান কাটতে গেলেন গোদাগাড়ীর শতাধিক শ্রমিক

জানা গেছে, নাটোর, সিরাজগঞ্জ জেলা ও বিশেষ করে বেশীর ভাগ নওগাঁ জেলার মান্দা,বদলগাছি বিভিন্ন উপজেলার গ্রামে গ্রামে বোরো ধান পাকা শুরু হয়েছে। তাই এসব এলাকায় আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। ওই অঞ্চলের ধান চাষিরা গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের দিঘা, দুধাই, ডাঙ্গাপাড়া, আবিলন্দা, পালশা ও খয়রা এলাকা থেকে খোঁজ করে কৃষি শ্রমিক নিয়ে যায়।

তাই প্রতিদিন বিপুল সংখ্যাক কৃষি শ্রমিক নিজ নিজ এলাকা থেকে ট্রাক, ভটভটি ভাড়া করে কাজের সন্ধানে ছুটছেন ওই সব অঞ্চলে। গত এক সপ্তাহে প্রায় দেড় শতাধিক শ্রমিক পাড়ি দিয়েছেন ওই সব জেলায়। এই সপ্তাহে আরও কয়েক শতাধিক যাবে করণ প্রত্যয়নের জন্য আবেদন পড়েছে অনেক।

এ মৌসুমে গোদাগাড়ী উপজেলায় তেমন কাজ থাকে না। তারপর করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন থাকায় হাতের জমানো টাকাও শেষ। সংসার চালাতে গিয়ে অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তাই করোনাভাইরাসে লকডাউনের কারণে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি কর্মকর্তার কাছে থেকে অনুমতি নিয়ে অন্য জেলায় কাজের সন্ধানে ছুটছেন কৃষি শ্রমিকরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মতিউর রহমান বলেন,যেহেতু কৃষিবান্ধব সরকারের প্রধান লক্ষ্য খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং সেই লক্ষ্য অর্জনে বোরো ধান নিরাপদে ঘরে তোলা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বর্তমানে করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিহত করতে জনগণ ও যানবাহন চলাচল সীমিত হওয়ায় কৃষি শ্রমিকদের আন্তঃজেলা চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

এ অবস্থায় কৃষি শ্রমিকদের গমনাগমণ নির্বিঘ্ন করা এবং ধান কর্তনের উদ্দেশ্যে উল্লেখিত জেলায় অবস্থানের সময় নিরাপত্তা প্রদান, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে প্রয়োজনীয় সহযোগিতাকরণসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসন, স্বাস্থ্যবিভাগ ও পুলিশ বিভাগের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে।

সুতরাং কৃষিশ্রমিকগণকে ধান কাটার সময়ে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সচেতনতাসহ সরকারের সকল নির্দেশনা মেনে চলা সাপেক্ষে কর্মস্থলে গমণের সাময়িক অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যেই আমাদের কাছ থেকে প্রায় দেড় শতাধিক ধান কাটা কৃষি শ্রমিক অনুমতি নিয়েছেন। অনুমতি নিয়ে অনেকেই তারা একসঙ্গে ২০-২৫ জনের দল করে গাড়ি ভাড়া করে চলে গেছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


শর্টলিংকঃ