নদীতে পানির উচ্চতা বাড়ছে, আতঙ্কে খুলনা উপকূলের মানুষ


ইউএনভি ডেস্ক:

ঘূর্ণিঝড় রিমাল উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার সঙ্গে খুলনা উপকূলের নদ-নদীতে পানির উচ্চতা বাড়ছে। স্বাভাবিক সময়ে ভাটায় পানি নেমে গেলেও রোববার বিকেলে তা হয়নি। বরং নদীতে স্বাভাবিকের চাইতে পানির উচ্চতা ৩-৪ ফুট বেশি রয়েছে। খুলনার কয়রা ও দাকোপের অনেক নদীর পানি বাঁধ ছুয়েছে। পানির এই চাপই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে উপকূলের মানুষের মাঝে।

সরেজমিন পরিদর্শন ও অন্যান্য উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে খুলনা উপকূলে দমকা হাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে সকাল থেকে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি থেমে, কিছু সময় পর আবার হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছেন মানুষ। রোববার দুপুর ২টা পর্যন্ত ৫ উপজেলার সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে ৮৫ হাজার মানুষ। প্রতিনিয়ত এই সংখ্যা বাড়ছে।

দেখা গেছে, দুপুরের পর থেকে দাকোপের শিবসা, পশুর, ভদ্রা, কয়রার শাকবাড়িয়া, কপোতাক্ষ নদের বাড়ি বেড়েছে। অনেক এলাকায় বাঁধ ছুয়েছে পানি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, বাঁধ রক্ষায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বালুর বস্তা ফেলানো হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছেন।

খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকর্তা আবদুল করিম জানান, খুলনার উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ৮৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের শুকনা খাবারসহ বিতরণ করা হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে ৫ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।


শর্টলিংকঃ