নিরাপদ স্মার্টফোন কোম্পানির নাম প্রকাশ করলো কাউন্টারপয়েন্ট


ইউএনভি ডেস্ক:

স্মার্টফোনের বাজারে প্রতিদিনই আসছে অত্যাধুনিক ফিচারের নতুন ফোন। বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই বাজারে সব কোম্পানিই চায় একধাপ এগিয়ে থাকতে। যেহেতু ব্যবহারকারীদের একান্ত ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মোবাইল ফোনে সংরক্ষিত থাকে, তাই এর নিরাপত্তার প্রশ্নটি উঠে আসে সবার আগে।


কাউন্টারপয়েন্ট টেকনোলজি মার্কেট রিসার্চ একটি বৈশ্বিক গবেষণা সংস্থা যারা স্মার্টফোনের মতো বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি-নির্ভর পণ্য এবং এর সঙ্গে জড়িত অর্থনৈতিক বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা ও জরিপ করে থাকে। সম্প্রতি তাদের ট্রাস্ট র‍্যাংকিং ২০২০ শীর্ষক জরিপের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে।

সফটওয়্যার, নিরাপত্তা, গঠনগত মান এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত– এই চারটি মানদণ্ডে কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের ২০২০ ট্রাস্ট র‍্যাংকিং জরিপটি করা হয়েছে। এই জরিপে দেখা গেছে অপারেটিং সিস্টেম এবং সিকিউরিটি সফটওয়্যার আপডেটের ক্ষেত্রে শীর্ষ পাঁচটি স্থানে যথাক্রমে রয়েছে নোকিয়া, ওয়ান প্লাস, স্যামসাং, রিয়েলমি এবং শাওমি।

কাউন্টারপয়েন্টের গ্লোবাল কনটেন্ট ম্যানেজার রিতেশ বেন্দ্রের মতে, বাজারে কিছু স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রয়েছে যারা ব্যবহারকারীদের সুবিধার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত এবং দ্রুত নিজেদের ফোনগুলো আপডেট রাখে। অপরদিকে কিছু ব্র্যান্ড সিকিউরিটি এবং সফটওয়্যার আপডেটের বিষয়টিতে বেশ কালক্ষেপণ করে।

বেন্দ্রে বলেন, আপডেট শুধুমাত্র ব্যবহারের সুবিধার্থেই দরকার নয়, বরং নিয়মিত আপডেট স্মার্টফোনের আয়ু অনেকদিন বৃদ্ধি করে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় যে বাজারের শীর্ষ দশ মোবাইল কোম্পানির কাছে তাদের স্মার্টফোন গ্রাহকদের আপডেট বিষয়ে অবগত করার কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই।

তিনি বলেন, যেহেতু ব্যবহারকারীরা তাদের স্মার্টফোন দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে চান, তাই নিরাপত্তাজনিত কারণে অপারেটিং সিস্টেম এবং সিকিউরিটি সফটওয়্যার আপডেটের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিৎ।

এক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেটের দিক থেকে নোকিয়া এবং ওয়ান প্লাস ব্র্যান্ড দুটি শীর্ষে রয়েছে। তথ্যের নিরাপত্তা, ম্যালওয়্যার প্রতিরোধ এবং ফিশিং আক্রমণ মোকাবিলায় এই দুটি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

স্মার্টফোনের হার্ডওয়্যার সময়ের সঙ্গে খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়। উন্নত থেকে উন্নততর প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে প্রতি বছর। পরিবর্তন হচ্ছে হার্ডওয়্যার তৈরির উপাদান ও পদ্ধতিতে। মোবাইলের আয়ু এবং টেকসই নির্ভর করে কী ধরণের উপাদানে হার্ডওয়্যার প্রস্তুত হচ্ছে তার ওপর।

ব্যবহারকারীদের মাঝে স্মার্টফোনের বাহ্যিক যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, অসাবধানবশত হাত থেকে পড়ে যাওয়া, ফোন গরম হয়ে যাওয়া এবং অনেকক্ষণ ব্যবহারের পর ফোনের ধীরগতি।
এই সবগুলো সমস্যার জন্য কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চে ড্রপ অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট, থার্মাল টেস্ট এবং ফ্যাটিগ টেস্ট করে দেখা হয়। বর্তমানে গড়ে একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ৩০ মাস অন্তর তার স্মার্টফোন বদল করেন। জরিপে দেখা যায় নোকিয়া স্মার্টফোন সব থেকে বেশিদিন টেকসই অভিজ্ঞতার নিশ্চয়তা দিচ্ছে।


শর্টলিংকঃ