পানির বাইরে যে পাঁচ খাবার আপনাকে হাউড্রেটেড রাখবে


পানি-ই সেরা।

পানির কোনো বিকল্প হয় না। তৃষ্ণা মেটানোর জন্য পানির ওপর কিছু নেই। শরীরের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তরল পানি।

হাইড্রেটেড থাকার মানে কী?

সহজভাবে আপনার শরীর থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ পানি বেরিয়ে যায়, সেই পরিমাণ পানি শরীরকে দেওয়া হলো হাইড্রেটেড থাকা। এর ফলে আপনার সমস্ত শরীরবৃত্তীয় কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হয়।

প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি আপনাকে খেতেই হবে
প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি আপনাকে খেতেই হবেছবি: প্রথম আলো
তবে পানির পাশাপাশি এই তরলগুলোও আপনাকে হাইড্রেটেড রাখবে:

১. ডাবের পানি, আখের রস, লেবুর শরবত

ডাবের পানি খুবই উপকারী, স্বাস্থ্যকর, নিরাপদ প্রকৃতিক পানীয়। আখের রস আমদের দেশে রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া জনপ্রিয় পানীয়গুলোর ভেতর অন্যতম। লেবুর শরবত বানানোর সময় লেবু হাতে চিপবেন। লেবুর রসালো ভেতরের অংশ বুড়ো আঙুল দিয়ে চেছে দেবেন। আর খেয়াল রাখবেন, সেটা যেন ছেঁকে ফেলে দেওয়া না হয়।

২. দুধ, তবে…

‘লো ফ্যাট ডেইরি’ বা উদ্ভিদ থেকে পাওয়া দুধের শতকরা ৯০ ভাগ বা তারও বেশি পানি। ফলে দুধ খেলে হাইড্রেটেড তো থাকবেনই, সঙ্গে ক্যালসিয়াম আর প্রোটিনও পাবেন।

৩. ফল ও শাকসবজি

নিজের খাদ্যতালিকায় মৌসুমি ফল, বিভিন্ন রঙের টাটকা শাকসবজি রাখুন। টাটকা ফল, শাকসবজিতে পানি বেশি থাকে। এ ছাড়া এই সমস্ত কিছুতে ফাইবার, ভিটামিন ও বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থও থাকে। চলতি মৌসুমে তরমুজ, আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, টমেটো (সারা বছরই পাওয়া যায়), বেগুন, পটোল, আঙুর, ঝিঙে, বিভিন্ন ধরনের শাক, ডাঁটা—এগুলোর ৮০ থেকে ৯০ ভাগই পানি।

৪. ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস

ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকসে লবণ থাকে। এই সোডিয়াম পানিকে যত দ্রুত সম্ভব শরীরের কোষে কোষে পৌঁছে দেয়। ফলে আপনি যদি দ্রুততম সময়ে হাইড্রেটেড হতে চান, হাতে তুলে নিতে পারেন ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস। এক গ্লাস (২৫০ মি.লি.) পানিতে এক চা–চামচের চার ভাগের এক ভাগ পিঙ্ক সল্ট মিশিয়েও খেতে পারেন। ঘামের ভেতর দিয়ে যে পানি বের হয়ে যায়, সেটি পূরণ করার সেরা উপায় ইলেকট্রোলাইট ড্রিংস। এ কারণেই অ্যাথলেট বা যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম আর শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাঁদের মধ্যে এটি খুব জনপ্রিয়। এক গ্লাস পানির সঙ্গে একটি কলাও ইলেকট্রোলাইট ড্রিংক হিসেবে কাজ করবে।

৫. চা, কফি

স্বাভাবিকভাবেই চা, ব্ল্যাক কফির মূল উপাদান পানি। তাই এগুলো খেয়েও আপনি হাইড্রেটেড থাকতে পারবেন। তবে চিনি ছাড়া খেলেই ভালো। নিতান্তই যদি চিনি খেতে হয়, তাহলে অল্প করে দিয়ে খান। চিনি দেওয়া সোডা, লেমনেড, চা, কফি খেলে ‘টেকনিক্যালি’ আপনি হাইড্রেটেড হবেন। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এগুলো এমন সব শারীরিক জটিলতা যেমন হার্টের অসুখ ইত্যাদি (চিনি কয়েক ধরনের ক্যানসারের সঙ্গেও যুক্ত) তৈরি করবে, যা শরীরে পানির স্বাভাবিক চাহিদার ওপর প্রভাব ফেলবে। এ ছাড়া চিনি ও চিনি দিয়ে তৈরি খাবার শরীরে ‘এম্পটি ক্যালরি’ (যে ক্যালরিতে কেবল ক্যালরি ছাড়া আর কোনো পুষ্টি উপাদান নেই) তৈরি করবে।

এই তালিকায় ফলের জুস অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কেন না, ফলের জুস মূলত ‘এম্পটি ক্যালরি’ বহন করে। ফাইবার নষ্ট হয়ে যায় অথবা বাদ পড়ে যায়। ফ্রুক্টোজের ক্যালরি ছাড়া তেমন কোন পুষ্টি উপাদান থাকে না বললেই চলে।

সূত্র: টাইম


শর্টলিংকঃ