পাবনায় নতুন আক্রান্ত ২ : নমুনা পরীক্ষা নিয়ে সন্দেহ


নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা:

পাবনায় সুজানগর ও সাঁথিয়া উপজেলায় প্রথমবারের মতো ২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে পাবনায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১০ জনে। তবে নমুনা পরীক্ষা ও নিজের সংক্রমিত হওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে আক্রান্ত এক ব্যাক্তি। 

পাবনার সিভিল সার্জন ডাক্তার মেহেদী ইকবাল বুধবার রাতে জানান, সুজানগর উপজেলায় আক্রান্ত ব্যক্তিটি (৩২) নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তিনি গত ১৪ এপ্রিল নিজ গ্রাম সুজানগরের নাজিরগঞ্জের নওয়াগ্রামে আসেন। গত ২৬ এপ্রিল তার নিজ বাড়ী থেকে মেডিকেল টিমের সদস্যরা নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষার জন্য রাজশাহী পাঠায়।

সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হাবিবুর রহমান জানান, বর্তমানে করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছে। তবে পরীক্ষার পূর্বে তার শরীরে জ্বর, কাশি সহ অন্য কোন ধরণের লক্ষণ দেখা যায়নি। তাকে আপাতত বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ওই গ্রামটি লকডাউন ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার তার পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

এদিকে সাঁথিয়া উপজেলায় আক্রান্ত ব্যাক্তির (২৬) বাড়ি সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের চৈত্রহাটি গ্রামে। তিনি ফরিদপুর জেলায় একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফাতেমা তুজ জান্নাত জানান, গত ২৭ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী পাঠানো হয়। বুধবার রাতে তার ফলাফল পজেটিভ এসেছে। আক্রান্ত ব্যক্তি তার বাড়িতে আছেন। তাকে আপাতত সেখানেই হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তার পরিবারের অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। আর পুরো গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে সাঁথিয়া উপজেলায় আক্রান্ত ব্যাক্তি তার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, তিনি যে ইটভাটায় কাজ করতেন সেখানে তিনিসহ তার গ্রামের অপর এক যুবক কাজ করতেন। তারা একই বিছানায় শুতেন এবং একই সঙ্গে রান্না করে খেতেন। তারা ফরিদপুর থেকে একই সঙ্গে পাবনায় নিজ বাড়িতে এসেছেন। তাদের দুই জননেরই নমুনা পরিক্ষায় তার শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হলেও অপর জনের পরিক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।

উল্লেখ্য: এ নিয়ে পাবনা জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১০ জনে। এর আগে চাটমোহর উপজেলায় একজন স্বাস্থ্যকর্মীসহ তিনজন, সদর উপজেলায় একজন চিকিৎসকসহ তিনজন এবং ভাঙ্গুড়া উপজেলায় দুইজন করেনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।


শর্টলিংকঃ