পাবনায় প্রস্তুত করোনা হাসপাতাল পরির্দশনে স্থানীয় সাংসদ


কলিট তালুকদার,পাবনা:
পাবনায় প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এখন পর্যন্ত পাবনা জেনারেল হাসপাতালের একজন ইন্টার্ন ডাক্তার ও তিনজন সিনিয়র ষ্টাফ নার্সসহ পাবনা জেলায় ১৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

পাবনায় প্রস্তুত করোনা হাসপাতাল পরির্দশনে স্থানীয় সাংসদ

এমন পরিস্তিতিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবায় পাবনা কমিউনিটি হাসপাতালকে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। মঙ্গলবার পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা হাসপাতালটি পরির্দশন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

পরির্দশন শেষে সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় জেলায় শীঘ্রই পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু হবে। তিনি আরো বলেন দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এরই মাধ্যে সারা দেশে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের প্রচেষ্টা চলছে।

পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মাইক্রোবাইলোজি বিভাগে পিসিআর ল্যাব স্থাপন সম্ভব বলে নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে পাবনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ও স্বাস্থ্য বিভাগের সাথেও আমরা কথা বলেছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ে পাবনায় পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা সম্ভব হবে।

সাংসদ আরো বলেন, করোনা যুদ্ধে চিকিৎসকেরা ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা। তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা করছেন। পাবনা কোভিড-১৯ হাসপাতালে যেসব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সেবা দেবেন তাদের জন্য উন্নত খাবার, আবাসনের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পাবনায় প্রস্তুত করোনা হাসপাতাল পরির্দশনে স্থানীয় সাংসদ

পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ এবং মানসিক ভাবে তাদের চাঙ্গা রাখতে ইন্টারনেট সংযোগ ও টেলিভিশনে কেবল সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল জানান, পাবনায় গত ২১ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ ফেরত একজন ব্যক্তির শরীরে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর একজন চিকিৎসক ও তিনজন সিনিয়র ষ্টাফ নার্স, একজন স্বাস্থ্যকর্মীসহ জেলায় মোট ১৩ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে।

এদের মধ্যে একজন ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অন্যদের, কোন উপসর্গ না থাকায় বাড়িতেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। উপসর্গ দেখা দেয়া মাত্র হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেয়া হবে।

কোভিড-১৯ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ আবুল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১০০ শয্যার জন্য অক্সিজেন সিলি-ার, নেবুলাইজারসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আইসিইউ, ভেন্টিলেটর স্থাপনে চাহিদাপত্রও দেয়া হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও প্রস্তুত রয়েছেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও আইইডিসিআর এর নির্দেশনা অনুযায়ী চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।


শর্টলিংকঃ