পাবনায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, মামলা দায়ের


নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা:

পাবনার আমিনপুরে সপ্তম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চালক ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা স্কুলছাত্রী পাবনার বেড়া উপজেলার আলহাজ্জ্ব ইমান আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় নির্যাতিতা ছাত্রীর মা বাদি হয়ে আমিনপুর থানার বৃ-নান্দিয়ারা গ্রামের আবুল শেখ ওরফে আবু সাইদের ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৬) ও একই গ্রামের আবুল সাপুরিয়ার ছেলে আলামিন ওরফে মুজিব (২৪) কে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। তবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষের দিন দুপুরে আমিনপুর থানার দিঘলকান্দি গ্রামে বোনের বাড়ি থেকে অটোভ্যানে করে বাঘলপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে ফিরছিল। পথিমধ্যে অটোভ্যান নষ্ট হয়ে গেলে তাকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় তুলে দেন ভ্যানচালক।

কিছু দূর যাবার পর চালক আলামিন ও তার বন্ধু জহুরুল অটোরিক্সাটি একটি নির্জন বাগানের মধ্যে নিয়ে গিয়ে স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পড়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে দু’জনকে আসামী করে রোববার রাতে আমিনপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

সোমবার দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কর্তব্যরত গাইনী চিকিৎসক ডা. সাবেরা গুলরুখ জানান, প্রাথমিক পরীক্ষায় স্কুলছাত্রীকে নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে।

নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর মা জানান, রোববার বিকেলে আমার মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় কয়েকজন লোক বাড়ি পৌঁছে দেয়। মেয়ের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত জেনে আমিনপুর থানায় মামলা দায়ের করেছি।

আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনেছি। শিক্ষার্থীর পরিবার রোববার রাতে আলামিন ও জহুরুলকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।


শর্টলিংকঃ