খোলা বাজারে ধানের দাম বেশী খাদ্য গুদামের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না


পুঠিয়া প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়া খাদ্য গুদামের চলতি বছর বরাদ্দকৃত ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। গুদাম কর্তৃপক্ষ বলছেন সরকারী দরের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশী পাওয়ায় কৃষকরা এবার এখনো পর্যন্ত গুদামে বিক্রি করতে আসেননি।

তবে চাষিদের অভিযোগ বিগত সময়ে খাদ্য গুদাম কৃষকদের ধান গম নয়, তাদের কৃষি কার্ড সংগ্রহে বেশী আগ্রহী ছিলেন। এবার লোকসান হওয়ার আশঙ্কা থাকায় সিন্ডিকেট করে আর ধান কিনছে না।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর সরকার নির্ধারিত প্রতিমণ ধান এক হাজার ৪০ টাকা দরে মোট ৩৪৮ মে.টন ক্রয়ের নির্দেশনা আসে। সে মোতাবেক গত নভেম্বর মাস থেকে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে ধান ক্রয় করতে বলা হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত একমণ ধানও ক্রয় করা হয়নি।

রাজু আহম্মদ নামের স্থানীয় একজন চাষি বলেন, এবার খোলা বাজারে প্রতিমণ ধানের দাম প্রকার ভেদে এক হাজার ৫০ থেকে ১৩শ’ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে খাদ্য গুদাম কিনছে এক হাজার ৪০ টাকা দরে। তার উপর একটি বস্তার দাম ৭০ টাকা, পরিবহণ খরচ, ঘুদামের কর্মচারী ও লেবারদের বকস্সি দিয়ে প্রতিমণে অতিরিক্ত আরো ১২০ টাকা খরচ হয়। এরপর খাদ্য কর্মকর্তা আর্দ্রতার অযুহাত দেখিয়ে চাষিদের অনেক হয়রানি করেন। এবার বাজারে ধানের দাম অনেক বেশী তাই চাষিরা গুদামে বিক্রি করতে আগ্রহী নয়।

আলী হোসেন নামের অপর এক চাষি বলেন, বিগত দিনে আমরা হাট-বাজারে একমণ ধানের মূল্যে পেয়েছি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা। আর সরকার কিনছেন প্রতিমণ ১ হাজার ৪০ টাকা দরে। সে সময় খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা কৃষকের নিকট থেকে খাদ্য নেয়নি। তারা কৃষিকার্ড সংগ্রহ করে অতিরিক্ত মুনাফা লুটেছে। এখন বাজারে দাম বেশী তাই এবার ওই চক্রটির মাধ্যমে গুদাম আর ধান ক্রয় করছে না।

এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসিলিটি) জালাল উদ্দীন বলেন, গুদামে কখনোই সিন্ডিকেট হয় না। আমরা প্রকৃত কৃষকদের নিকট থেকে কৃষিকার্ডের মাধ্যমে খাদ্য ক্রয় করি। চাষিরা এবার খোলা বাজারে ধানের দাম সরকারী রেটের চেয়ে অনেক বেশী পাচ্ছেন। তাই তারা গুদামে বিক্রি করতে আগ্রহী নয়। তবে আগামী ফেব্রুয়ারীর শেষ দিন পর্যন্ত ধান ক্রয়ের সময় সীমা রয়েছে। এ মধ্যে চাষিরা ধান নিয়ে আসলে আমরা অব্যশই তা ক্রয় করবো।


শর্টলিংকঃ