পুঠিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নির্মাণাধীন শেখ রাসেল পার্ক


আবু হাসাদ, পুঠিয়া:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় শেখ রাসেল শিশু পার্কের প্রাথমিক নির্মাণ কাজ অপরিকল্পিত ভাবে করার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই পার্কটি শিশুদের জন্য চরম ঝুঁকিপূণ হয়ে উঠেছে। এলাকার সচেতন লোকজন বলছেন অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ পার্কটিতে আগতরা যে কোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন।

পুঠিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নির্মাণাধীন শেখ রাসেল পার্ক
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৭ মার্চ স্থানীয় সাংসদ ডা. মনসুর রহমান প্রস্তাবিত শেখ রাসেল শিশু পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পার্কে প্রাথমিক ভাবে নির্মাণ কাজ করতে বিশেষ বরাদ্দের মোট ৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই পার্কের বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ কাজে টুরিজম বোর্ড থেকে ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ এসেছে। যা নতুন ভাবে কাজ শুরু করতে টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, পার্কটিতে প্রাথমিক অবস্থায় সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোনো প্রকার টেন্ডার ছাড়াই তার ঘনিষ্ট একজন কথিত ঠিকাদার দিয়ে দায়সারা ভাবে কাজ করেছেন। নির্মাণ কাজ যা হয়েছে তা অপরকিল্পিত এবং অতিনিন্মমানের। বরাদ্দের অর্থ আত্নসাত করতে উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের লোকজন দিয়েও এখানে কাজ করানো হয়েছে। নির্মাণ কাজে উপজেলা প্রশাসনের সরাসরি প্রভাব থাকায় হয়রানি এড়াতে স্থানীয় লোকজন এই অনিয়মের বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করেননি।

পুঠিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নির্মাণাধীন শেখ রাসেল পার্ক
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাজপরগণার রাণীঘাটের পূর্বপাশে আমবাগানের প্রায় ২.৬৯ একর জমির উপরে শেখ রাসেল শিশু পার্ক নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শেষে এখন পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পার্কটি উন্মুক্ত থাকায় সেখানে এখন গো-ছাগলের চারণ ভূমিতে রুপ নিয়েছে। পার্কের মধ্যে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শোভাবর্ধন বৃক্ষ রোপন করার সাইনবোর্ড ঝুলে থাকলেও সেখানে নেই কোনো গাছপালা।

পার্করে মধ্যে জন্মেছে আগাছা আর আসেপাশের লোকজনদের নির্মাণ সামগ্রী রাখার স্থান হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে সেটি। রানীঘাট দিঘি ঘেঁসে ঝুকিপূর্ণ আমগাছের গোড়ায় অরক্ষিত ভাবে তৈরি করা হয়েছে রৌদ্র ছায়া নামে একটি মুক্তমঞ্চ। মঞ্চের পাশে পুরনো টিন দিয়ে আটকিয়ে রাখা মাটি ধসে যাওয়ায় তা বর্তমানে চরম ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি আম ও ডাব গাছের গোড়া বাঁধায়ের কাজ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশীর ভাগ আমগাছ গুলো মরে শুকিয়ে আছে। গাছ গুলো যে কোনো মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়ে প্রানহানি ঘটতে পারে।

পুঠিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নির্মাণাধীন শেখ রাসেল পার্ক
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুমানা আফরোজ বলেন, অরক্ষিত পার্ক ও ঝুকিপূর্ণ মুক্তমঞ্চ রক্ষার বিষয়টি আমরা দেখবো। আর সদ্য যোগদানকৃত নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশিক্ষনে থাকায় পার্ক বিষয়ে বিস্তারিত এই মুহুর্তে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।


শর্টলিংকঃ