পুঠিয়ায় মেয়রসহ দু’জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ


পুঠিয়া প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় পূর্বশত্রুতার জেরে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে আবরার ইয়াসির (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রের পিতা বাদী হয়ে পৌর মেয়র রবিউল ইসলাম রবিসহ তার কর্মচারীর বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

বুধবার দুপুরের দিকে সামনে পুঠিয়া আড়ানী সড়কের পৌরসভা অস্থায়ী কার্যালয়ে সামনে কিশোtরকে পেটানোর ঘটনা ঘটে। আহত ওই কিশোর উপজেলার পৌর এলাকার মহিরুল ইসলামের ছেলে ও পুঠিয়া পি এন সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে করোনার প্রভাবের কারণে প্রয়োজনীয় দোকানপাট সীমিত আকারে খোলা থাকে। বুধবার সাড়ে ১২ টার দিকে কিশোর ইয়াসির তার দাদীর জন্য ওষুধ কিনতে মোটরসাইকেল নিয়ে পুঠিয়া সদরে আসছিল। পথে পৌরসভার সামনে এলে পৌর মেয়র রবিউল ইসলাম রবি তাকে থামতে নির্দেশ দেন।

পরে ওই কিশোর মোটরসাইকেল থামানো মাত্র সেখানে উপস্থিত মেয়রের কর্মচারী সুমন তাকে মারধর করে। পরে তার মোটরসাইকেলটি জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। ইয়াসিরের বাবা মহিরুল ইসলাম বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে মেয়র তার ছেলেকে মারধর করেছে। পূর্ব থেকেই পৌর মেয়রের সঙ্গে তার ব্যবসা সংক্রান্ত টাকা-পয়সা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এরই জের ধরে আমার ছেলেকে মারধর করে মোটরসাইকেল কেড়ে নিয়েছে।

তিনি এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করে বুধবার রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে মারধর করার বিষয়টি অস্বীকার করে পৌর মেয়র রবিউল ইসলাম বলেন, ছেলেটি বেপরোয়াভাবে সড়কে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলো। এক পর্যায়ে সে পৌরসভার সামনের দেয়ালের সাথে এক্সিডেন্টে করে আহত হয়। পরে পৌরসভার কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করেছে এবং মোটরসাইকেলটি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, ছেলেটি পুঠিয়া আড়ানী সড়কে রেজিস্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলো। পৌরসভার লোকজন মোটরসাইকেলটি ধরে আমাদের খবর দিয়েছেন। আমরা ওই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে একটি মামলা দিয়েছি। তবে ওই কিশোরের পিতা বাদী হয়ে পৌর মেয়রসহ দুই জনের বিরুদ্ধে তার ছেলেকে মারধর করার অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।


শর্টলিংকঃ