দ্বিতীয়বার বিপিএম পদক পেলেন আরএমপি কমিশনার


নিজস্ব প্রতিবেদক :

সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ অবদান এবং সেবামূলক কাজের জন্য দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) পেয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার। মঙ্গলবার প্রকাশিত পুলিশ পদকপ্রাপ্ত ৩৪৯ জন কর্মকর্তার তালিকায় আরএমপি কমিশনারও রয়েছেন। এর আগেও তিনি বিপিএম পদক অর্জন করেছিলেন।

আরএমপি কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার। ফাইল ছবি।

গত বছরের ২ জুলাই আরএমপিতে যোগ দেন একেএম হাফিজ আক্তার। এর আগে তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকায় অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে ট্রান্সপোর্ট শাখায় কর্মরত ছিলেন।

জানা যায়, একেএম হাফিজ আক্তার আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ থেকে বিএসসি এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনোমি বিভাগ থেকে এমএস ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

একেএম হাফিজ আক্তার ১৯৯৮ সালে ১৭তম বিসিএসে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পুলিশে যোগ দেন। তিনি সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে তিনি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হিসেবে পুলিশ একাডেমি সারদায় কর্মরত ছিলেন। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রান্সপোর্ট বিভাগ, গুলশান বিভাগ, চ্যান্সেরি বিভাগ ও উত্তরা বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। পুলিশ সুপার হিসেবে তিনি টাঙ্গাইল ও চট্টগ্রাম জেলায় দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৬-২০০৭ সালে তিনি কসোভো জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। পুলিশ বিভাগে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি বিপিএম সেবা ও আইজিপি ব্যাজ পদক লাভ করেন। বৈবাহিক জীবনে তিনি দুই ছেলেমেয়ের জনক।

সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর পুলিশের সেরা কর্মকর্তা ও সদস্যদের বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদকে (পিপিএম) ভূষিত করেন প্রধানমন্ত্রী। সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদান এবং সেবামূলক কাজের বিবেচনায় এসব পদক দেওয়া হয়। এই পদকের যোগ্য কর্মকর্তাদের বাছাই করতে পুলিশ সদর দপ্তরে একটি কমিটি করা হয়।

বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা কমিটির কাছে তাঁদের বছরের সেরা কাজটির বিবরণ পাঠান। তার ভিত্তিতে যাচাই শেষে পুলিশ সদর দপ্তরের কমিটি পদক পাওয়ার মতো কর্মকর্তাদের একটি তালিকা তৈরি করে অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠায়। প্রধানমন্ত্রী তা চূড়ান্ত করে থাকেন। পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিনের কর্মসূচিতে প্যারেডে সালাম গ্রহণের পর নিজ হাতে কর্মকর্তাদের এই পদকে ভূষিত করেন প্রধানমন্ত্রী।

এই পদক পুলিশের চাকরিতে খুবই সম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত। কর্মকর্তারা এর জন্য আর্থিক সুবিধাও পান এবং নামের শেষে এই পদক উপাধি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।


শর্টলিংকঃ