পূর্ণাঙ্গ রায়ের অপেক্ষায় বিডিআর বিদ্রোহ মামলা


ইউএনভি ডেস্ক :

পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরের নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ সোমবার। হত্যাযজ্ঞে ৫৭ জন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া খুনের মামলায় ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের রায় ঘোষণা হয়। তবে এখনো পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়নি।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনা কর্মকর্তার লাশের কফিন বহনের সময়ে এভাবে কান্নায় ভেঙে পড়েন সহকর্মীরা। ফাইল ছবি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও শামীম সিকদার রোববার প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় এখনো প্রকাশিত হয়নি। রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পাওয়ার পর তাঁরা আপিল করবেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘হাইকোর্টে আপিল তো শেষ হয়ে গেছে। সংবিধান অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আবেদন করলে তা আপিল হিসেবে বিবেচিত হবে। আমি যতটুকু জানি, আসামিপক্ষ এখনো রায়ের কপি হাতে পায়নি। আসামিপক্ষ রায়ের কপি পেলে তারা আপিল বিভাগে আপিল করবে।’

বিচারিক আদালতের রায়ের পর হাইকোর্টেও মামলার বিচারকাজ নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন বিচারের সর্বোচ্চ ধাপ আপিল বিভাগেই মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের হলে আপিল বিভাগেই মামলার চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারিত হবে।

পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মামলায় হাইকোর্ট ১৩৯ জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছেন। যাবজ্জীবন বহাল আছে ১৮৫ জনের এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা বহাল রয়েছে ২০০ জনের।

২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের সময় পিলখানার ভেতর থেকে তোলা ছবি।

এর আগে নিম্ন আদালতের রায়ের পর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হাইকোর্টে আসে। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডিত ব্যক্তিরাও জেল আপিল ও আপিল করেন। ৬৯ জনকে খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে।

এসবের ওপর ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়, শেষ হয় ৩৭০তম দিনে, ১৩ এপ্রিল। সেদিন শুনানি শেষে আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। ২৬ ও ২৭ নভেম্বর দুই দিনে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতি হলেন মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।

  • একনজরে হাইকোর্টের রায় :
    রায়: ২৭ নভেম্বর ২০১৭
    দণ্ড: ফাঁসি বহাল ১৩৯ জনের, যাবজ্জীবন ১৮৫ জনের, ২০০ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস ৪৫ জন।
  • একনজরে বিচারিক আদালতের রায় :
    ঘটনা: ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি
    নিহত: ৫৭ জন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন
    রায়: ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর দণ্ড: ১৫২ জনের ফাঁসি, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ১৬১ জনের। ১০ বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজা ২৫৬ জনের। খালাস ২৭৮ জন। সর্বমোট সাজা ৫৬৮ জনের।- তথ্যসূত্র: প্রথম আলো।

শর্টলিংকঃ