প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার


 

ইউএনভি ডেস্ক:

বগুড়ায় ফাঁদে ফেলে অপহরণ পর মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন।

রোববার দিবাগত রাত ও সোমবার সকালে বগুড়া সদর এবং শাজাহানপুর উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- পুরান বগুড়ার কোরবান আলী (৩০), তাপস চন্দ্র সরকার (২৬), শহিদ হাসান (২০), শাহরিয়ার আহমেদ শান্ত (২১), গোহাইলে এলাকার জান্নাতুল ফেরদৌস সাব্বির (২৪) ও শাজাহানপুরের রেশমা খাতুন (৩৮)।

গ্রেপ্তার কোরবান আলীর বিরুদ্ধে এর আগেও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, চাঁদাবাজি ও মাদকসহ সাতটি মামলা রয়েছে।

ডিবি পুলিশ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শাহাজানপুরের পুটু মিয়া মোল্লা নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন- তার ছেলে তাজনুর আহম্মেদ রানা (৩০) ও ছেলের বন্ধু শরিফুল ইসলাম (২৮) রোববার সন্ধ্যায় মাঝিড়া যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে মোটরাইকেলে বের হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে রানা তার ভাই রাজুকে ফোনে জানায়, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে তাৎক্ষণিক ২ লাখ টাকা বিকাশে দিতে হবে। এসময় টাকা দিতে রাজি না হলে রানাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

ফলো করুন-
ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন সমকাল ইউটিউব
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সদর ও শাজাহানপুর থেকে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। এ সময় ভুক্তভোগী ও তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্বীকার করেন- তারা দীর্ঘদিন ধরে অপহরণ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। এজন্য কৌশলে প্রথমে নারী সদস্যকে প্রতারণার প্রথম ফাঁদ হিসেবে কাজে লাগান। পরে ওই নারীকে দিয়ে টার্গেট শ্রেণি বা ব্যক্তিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নির্ধারিত স্থানে ডেকে নেয়। এরপর মুক্তিপণ আদায় করেন তারা। বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, প্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।


শর্টলিংকঃ