ফলে রাসায়নিকের ব্যবহার ঠেকাতে কমিটি করার নির্দেশ


ইউএনভি ডেস্ক :

আমসহ অন্যান্য ফল পাকানো বা সংরক্ষণে ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রয়োগ ঠেকাতে দেশের ফলের বাজার ও আড়ৎগুলোকে নজরদারি করতে কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আগামী সাত দিনের মধ্যে পুলিশ প্রধান, বিএসটিআই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআই’র কেমিকেল টেস্টিং উইংয়ের পরিচালককে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। এ আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ১৮ জুন প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।

আজ সোমবার (২০ মে) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল বাশার।

পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার বন্ধ ও ফল সংরক্ষণে এটি বন্ধে একটি রিট পিটিশন করেছিলোম, যেটা ২০১২ সালে রায় হয়েছে। এরপর থেকে মামলাটি চলমান আছে।

এর মধ্যে কিছুদিন অগে আমরা আবেদন দাখিল করেছিলাম যে, এখন যেহেতু আমের মৌসুম তাই কেউ যেন ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করে আম পাকাতে না পারে।

সে পরিপ্রেক্ষিতে আদালত দুইটা আদেশ দিয়েছিলেন। এরমধ্যে একটা নির্দেশ ছিল পুলিশ প্রধান, বিএসটিআই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআই’র কেমিকেল টেস্টিং উইংয়ের পরিচালককে।

তারা ঢাকাসহ সারা দেশের ফলের বাজার ও আড়ত নজরদারীতে কমিটি গঠন করে তা পর্যবেক্ষণ করতে। যাতে রাসায়নিক ব্যবহার করে ফল রক্ষণাবেক্ষণ বা ফল পাকাতে না পারে।

রিটকারী পক্ষের এ আইনজীবী বলেন, এ বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তাদের নির্দেশ দিয়ে আজ মামলাটির তারিখ রেখেছিলেন আদালত। কিন্তু তারা কোনো প্রতিবেদন না দেওয়ায় বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে এনে বলেছি, এটি যদি না করা হয় তাহলে দেখা যাবে রাজশাহীর আম বাগানে রাসায়নিক ব্যবহার করল না।

কিন্তু ঢাকাসহ সারাদেশে ফলের বাজার-আড়তে এনে যদি রাসায়নিক ব্যবহার করে তাহলে তো এর সুফল পাওয়া যাবে না। সে প্রেক্ষিতে আদালতের কাছে অবেদন জানালাম আদেশটা যেন কার্যকর করা হয়। পরে আদালত এ আদেশ দেন। তথ্যসূত্র : সারাবাংলা


শর্টলিংকঃ