ফেরত যাচ্ছে চার হাজার হজ কোটা


ইউএনভি ডেস্ক:

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত হজ কোটা পূরণ হচ্ছে না। এ জন্য চার হাজারের মতো কোটা সারেন্ডার (ফেরত পাঠানো) করতে হচ্ছে। মৌখিকভাবে সৌদি আরবকে এ তথ্য জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী ৫ মের আগে জানানোর কথা আছে। বুধবার সংশ্লিষ্ট একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আট বার সময় বাড়িয়েও বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ করা হজ কোটা পূরণ হয়নি। এখনও চার সহস্রাধিক হজযাত্রী নিবন্ধনের সুযোগ আছে। এর সবগুলোই সরকারি কোটার আসন। এখন বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে কোটা পূরণের চেষ্টা চলছে। আগামী ৫ মের আগে যতজনের কোটা পূরণ হয় তা গ্রহণ করে অবশিষ্ট আসন ফেরত দেওয়া হবে।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার সুযোগ আছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন। অর্থাৎ নিবন্ধনের বাকি আছে ৭ হাজার ৫০৩ জনের। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকের মতো কোটা সরকারি এবং বেসরকারি হজ ব্যবস্থাপনা টিম সদস্যদের দিয়ে পূরণ হবে। সে হিসেবে নিবন্ধনের জন্য প্রকৃত কোটা বাকি আছে ৪ হাজারের কিছু বেশি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি হজ নিবন্ধন শুরু হয়। আট দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ না হওয়ায় ১১ এপ্রিল উন্মুক্ত নিবন্ধন বন্ধ করা হয়েছে।

চাঁদ দেখাসাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। এতে খরচ ধরা হয় ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। উভয় প্যাকেজের সঙ্গে যুক্ত হবে কোরবানির খরচ। যদিও পরে সরকারি এবং বেসরকারি দুই প্যাকেজেই ১১ হাজার টাকা করে কমানো হয়।

এদিকে আগামী ২১ মে বাংলাদেশ থেকে সৌদিগামী হজ ফ্লাইট শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ৪টায় চলতি হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হতে পারে।


শর্টলিংকঃ