বাঙালীর ‘প্রাণের মেলা’ অমর একুশে বইমেলা : প্রধানমন্ত্রী


ইউএনভি ডেস্ক :

অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার বিকালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলার’ উদ্বোধন করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী বই মেলার পর্দা উঠলো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বইমেলা কেবল বই কেনাবেচার জন্য নয়, বইমেলা বাঙালির ‘প্রাণের মেলা’।

অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, যতই আমরা যান্ত্রিক হই না কেন, বইয়ের চাহিদা কখনো শেষ হবে না। নতুন বইয়ের মলাট, বই শেলফে সাজিয়ে রাখা, বইয়ের পাতা উল্টে পড়ার মধ্যে যে আনন্দ আছে, আমরা সবসময় তা পেতে চাই। এ সময় তিনি নিরাপত্তার বেড়াজালের কারণেই নিয়মিত বইমেলায় আসতে না পারার কষ্টের কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে যখন ক্ষমতায় ছিলাম না, তখন এই মেলায় অনবরত ঘুরে বেড়াতাম। আর এখন অনেকটা বন্দি জীবন, এখন ইচ্ছা থাকলেও আসা যায় না। আর আসলেও অন্যের অসুবিধা হয়।সত্যি কথাটা কি, মনটা পড়ে থাকে বইমেলায়।

অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় কবি শঙ্খ ঘোষ, মিসরীয় লেখক-গবেষক মুহসেন আল আরিসি। বইমেলার উদ্বোধন ঘোষণার আগে প্রধানমন্ত্রী এবারের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাওয়া চারজনের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।

কবিতায় কবি কাজী রোজী, কথাসাহিত্যে মনোরোগ চিকিৎসক মোহিত কামাল, প্রবন্ধ ও গবেষণায় বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যের জন্য গবেষক-কলামিস্ট আফসান চৌধুরী এবার এ পুরস্কার পেয়েছেন।

অমর একুশে বইমেলায় প্রধানমন্ত্রীকে বই উপহার দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অফ দা নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিসরীয় সাংবাদিক-গবেষক মুহসেন আল আরিসির লেখা ‘হাসিনা হাকাইক আসাতি’ বইটির একটি কপি এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

মুসলিম প্রধান একটি দেশে একজন নারী হয়ে নেতৃত্বে এসে শেখ হাসিনা কীভাবে মানুষের দিনবদলের রূপকার হয়ে উঠলেন, সেই বিবরণ এই বইয়ে তুলে ধরেছেন আরিসি। বইটির বাংলা তর্জমার শিরোনাম ‘শেখ হাসিনা: যে রূপকথা শুধু রূপকথা নয়’। দুই মলাটের ভেতরে কাগুজে বইয়ের প্রতি ভালোবাসার কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে এ বইকে ডিজিটাল দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার কথা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, অনলাইনে বই থাকলে তা বিশ্বের সবার কাছে দ্রুত পৌঁছে যায়। ডিজিটাল লাইব্রেরি হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। দেশের স্বাধীনতা, রাষ্ট্রভাষা আর ইতিহাস নিয়ে নতুন প্রজন্মকে জানাতে আরও বেশি বই প্রকাশের আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রামেন্দু মজুমদার। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী। অন্যদের মধ্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবুও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


শর্টলিংকঃ