বছরে হেলথ ও ফিটনেসের পাঁচ অ্যাপ বেশি ডাউনলোড হয়েছে


ইউএনভি ডেস্ক:

নিজেকের সুস্থ রাখতে ও সুঠাম দেহের অধিকারী হতে চায় সবাই। তাই প্রযুক্তি ব্যবহারের সময়ে এসে বেড়েছে স্মার্টফোনে ফিটনেস অ্যাপের কদর।

চলতি বছরে গুগলে প্লে স্টোর ও অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর থেকে এমন ফিটনেস অ্যাপের ডাউনলোড আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। অনেকেই তার জীবন যাপনে এখন বাধ্যতামূলক করে ফেলেছে বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্কআউট বা শরীরচর্চা।

নিজেকে আরও স্মার্ট করে তুলতে, শরীরে পেশী বাড়াতে, সর্বোপরি শরীর সুস্থ রাখতে ফিটনেস অ্যাপের দিকে ঝুঁকেছেন বেশি।

কেন ফিটনেস অ্যাপ?

ফিটনেস অ্যাপ ব্যবহারের অন্যতম কারণ নিজেকে সুস্থ রাখা। স্মার্টফোনে ফিটনেস অ্যাপ থাকা মানে সেই অনুযায়ী ওয়ার্কআউট করা এবং তার একটা হিসাব রাখা।

ফিটনেস অ্যাপ ব্যবহারে ওয়ার্কআউটের হরেক রকম আইডিয়া পাওয়া যায়। এই অ্যাপে নিজেদের ওয়ার্কআউটের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেওয়া এবং সেটা পূরণে কাজ করতে পারা যায়। প্রতিদিন স্বাস্থ্যের জন্য সময় ব্যয়ের একটা হিসাবও রাখা যায়। এমনকি অ্যাপ ব্যবহারে খাবার গ্রহণের সময়, কী পরিমাণ খাওয়া ভালো এমন হিসাবও রাখা সম্ভব হয়।

হেলথ ও ফিটনেসে জনপ্রিয় সব অ্যাপ

এখন অনেকেই স্মার্ট ব্যান্ড ব্যবহার করেন। তাই সেই অনুযায়ী অ্যাপও ব্যবহার করেন। তবে যারা সেসব ব্যবহার করেন না, শুধু স্মার্টফোনেই ভরসা করেন তারা নানা ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করেন।

রানট্যাস্টিক স্টেপস বা স্টেপস ট্র্যাকার

গত কয়েক বছর ধরে অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্মে যে অ্যাপটি ফিটনেস অ্যাপ হিসেবে একধরনের রাজত্ব করে আসছে সেটি হচ্ছে এই রানট্যাস্টিক স্টেপস বা স্টেপস ট্র্যাকার। অ্যাপটি নিজেকে সক্রিয় রাখতে, ক্যালরি ক্ষয় করতে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে।

ব্যান্ড বা অন্য কোনো ডিভাইস ছাড়াই অ্যাপটি শুধু স্মার্টফোন কাছে থাকলেও স্পেট গণনা করতে পারে। এটি স্মার্টফোনের সেন্সর ব্যবহার করেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীর গতিবিধি ধরে এবং হিসাবে রাখে।

গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপ স্টোরে রানট্যাস্টিক স্টেপস বা স্টেপস ট্র্যাকার অ্যাপটি ফ্রিতেই পাওয়া যায়। তবে চাইলে এর পেইড সংস্করণও ব্যবহার করা যায়। এর জন্য অবশ্য প্রতিমাসে ২.৯৯ থেকে ৪.৯৭ ডলার পর্যন্ত খরচ হবে।

মাইফিটনেসপাল

ক্যালরি খরচ করতে এবং কয়েক লাখ খাবারের তালিকা পেতে চাইলে আপনার স্মার্টফোনে মাইফিটনেসপাল অ্যাপটি রাখতে হবে। ওযার্কআউট করার পর কোন খাবারগুলো শরীরের জন্য উপযোগী সেসব পাওয়া যাবে এই তালিকায়। একই সঙ্গে সেসব খাবারের গুণাগুণ সম্পর্কে জানা যাবে অ্যাপটির সাহায্যে।

মাইফিটনেসপাল অ্যাপটি হাঁটাচলা, দৌঁড়ানো, বাইক চালানো, সাঁতারকাটার মতো কাজগুলোর হিসাব রাখতে সক্ষম। এতে আড়াই শতাধিক শরীরচর্চার প্রক্রিয়া দেখতে পারবেন।

মূল ফিচার যেগুলো : অ্যাপটি দিয়ে দেখা যাবে বিশাল বড় খাবারের ডেটাবেইজ। ক্যালরি, সুগার, জ্বর, ভিটামিন ট্র্যাকার। হৃদযন্ত্র ঠিক রাখতে ও শক্তি বাড়ানোর চর্চা রয়েছে। স্টেপ গণনা করা।

অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস থেকে ডাউনলোড করা যাবে অ্যাপটি।

লাইফসাম

শরীর চর্চার ক্ষেত্রে খাবার অবশ্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। লাইফসাম অ্যাপ আপনাকে সেই খাবারের সাধারণ সব দিক নির্দেশনা দেবে। শুধু দিক নির্দেশনা দিয়েই থেমে থাকবে না অ্যাপটি। এতে পাওয়া যাবে বিভিন্ন বয়সভেদে খাবারের তালিকা।

কেউ যদি শরীরচর্চার সময় তার খাবারের পরিকল্পনা সাজাতে চায় তার জন্য লাইফসাম একটি উৎকৃষ্ঠ অ্যাপ হতে পারে। কারণ, এখানে ক্যালরি পরিমাপের জন্য রয়েছে ম্যাক্রো ক্যালকুলেটর।

চাইলে অ্যাপটিকে বিভিন্ন ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত করা যাবে। সিস্টেমেটিক ও নিজের মতো প্ল্যান করা। গুগল ফিট ও বিভিন্ন ফিটনেস অ্যাপ সাপোর্ট করে।ম্যাক্রো ট্র্যাকার। বিভিন্ন ধরনের ডায়েটের তালিকা ফিচার রয়েছে।

অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসে ডাউনলোড করা যাবে অ্যাপটি।

স্লিপ সাইকেল

ভালো স্বাস্থ্য চাইলে অবশ্য সঠিক ও পরিমিত ঘুমের প্রয়োজন। আপনি নিয়ম করে শরীরচর্চা করেন, খাবার খান, অথচ ঘুমের বেলায় তা সঠিকভাবে না ঘুমান তাহলে আপনার সবকিছুই বৃথা যাবে।

স্লিপসাইকেল অ্যাপটি আপনার সঠিক ঘুমের হিসাব রাখবে এবং ঘুমের সময়ের হার্ট রেট গণনা করবে। এমনকি পরিমিত ঘুম হয়ে গেলে এটি আপনাকে জাগানোর জন্য অ্যালার্ম দেবে।

অ্যান্ড্রয়ে ফোনে ডাউনলোড করতে চাইলে এই ঠিকানায় যেতে পারেন।

হোম ওয়ার্কআউট

অনেকেই ঘরে থেকেই নানা ধরনের শরীরচর্চা করেন। ঘরে তো অনেকেরই আর জিমনেশিয়ামের সুবিধা নেই। তাই কিভাবে জিমনেশিয়ামের সরঞ্জাম ছাড়াই ঘরে বসে ওয়ার্কআউট করা যায় তার আদ্যোপান্ত জানাবে এই হোম ওয়ার্কআউট অ্যাপ।

এটি অ্যাবস, আর্মস, মাসল, লেগ, চেস্ট এবং পুরো শরীর গঠনে বিভিন্ন টিপস দেয়। এটিকে কোচ হিসেবেও ধরা যায়। কারণ অ্যাপটিতে বিভিন্ন ট্রেনিং প্ল্যান পাওয়া যায়।


শর্টলিংকঃ