ইসলামী ব্যাংক সহ বাংলাদেশের তিন ব্যাংকে সন্দেহজনক লেনদেন


ইউএনভি ডেস্ক:

বাংলাদেশের তিন ব্যাংকের মাধ্যমে সন্দেহজনক বিদেশি লেনদেন সংঘটিত হয়েছে। ব্যাংক তিনটি হলো রাষ্ট্রমালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক, বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল)। এর মধ্যে রূপালী ব্যাংক অর্থ পাঠিয়েছে এবং অপর দুটি ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ এসেছে। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো যে পরিমাণ সন্দেহজনক অর্থ গ্রহণ করেছে, পাঠিয়েছে তার চেয়ে বেশি।


সব মিলিয়ে ব্যাংকগুলোতে ৮ লাখ ৩২ হাজার ৯৩৭ ডলারের লেনদেন হয়েছে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ৭ কোটি ৮ লাখ টাকা। সব লেনদেন হয়েছে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে। আবার এসব লেনদেন সংঘটিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও ব্যাংক অব নিউইয়র্ক মেলান করপোরেশনের মাধ্যমে।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) ‘ফিনসেন ফাইলস’ নামক ফাঁস করা নথিতে বাংলাদেশ নিয়ে এসব তথ্য উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্কের (ফিনসেন) কাছ থেকে পাওয়া এ তথ্য ফাঁস করেছে আইসিআইজে।

আইসিআইজে তাদের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের সব মিলিয়ে আটটি লেনদেনকে সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়া অ্যান্ড নিউজিল্যান্ড ব্যাংকিং (এএনজেড) থেকে ইসলামী ব্যাংকে আসে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৩৩ ডলার।

এ নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব-উল-আলম বলেন, ‘ওটা রপ্তানি আয়ের টাকা। যে প্রতিষ্ঠানের টাকা এসেছে, তারা দেশের ভালো প্রতিষ্ঠান। এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কেউ জানতে চায়নি।’

জানা গেছে, জিএমএস গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইলহাম সোর্সিংয়ের রপ্তানি আয়ের অর্থ এসেছিল ইসলামী ব্যাংকে। অস্ট্রেলিয়ান ক্রেতা কালচার কিং রিচব্যান্ড ওই টাকা পাঠায়।

জিএমএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমাদের সব রপ্তানি ঋণপত্র ও রপ্তানির টাকার তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে জানানো হয়। সব টাকাই রপ্তানি আয়ের।’


শর্টলিংকঃ