বাঘায় বেহাল সড়কে জনভোগান্তি


বাঘা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চণ্ডিপুর-জোতরাঘব সড়কের এমন বেহাল দশার কারণে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। চার কিলোমিটার সড়কে পিচের আস্তরণ উঠে অসংখ্য খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে গর্ত সৃষ্টি হয়ে পানি জমে মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা এখন চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তবু সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।

জানা যায়, উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের পলাশী, ফতেপুর, দাদপুর, কড়ালী নওশারা এবং বাজুবাঘা ইউনিয়নের শিমুলতলা, খানপুর, আশরাফপুর, শরেরহাট, খায়েরহাট, জোতরাঘব গ্রামের মানুষ উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক। সংস্কারের অভাবে বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে।

চণ্ডিপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক রহিম উদ্দিন জানান, প্রতিদিন রাস্তা দিয়ে কমবেশি ১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। এ ছাড়া চলে অসংখ্য পণ্যবাহী ছোট-বড় ট্রাক, ট্যাংক-লরি, ভটভটি, ভ্যান, রিকশা, অসুস্থ রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, কার, মোটরসাইকেল।

ফলে এ খানাখন্দের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। অবিলম্বে এ রাস্তাটি সংস্কার না করলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি প্রাণহানিও ঘটতে পারে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির সু-দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

ভ্যানচালক এরশাদ আলী বলেন, এ সড়ক দিয়ে আমি প্রতিদিন যাত্রী বহন করি। কিন্তু এখন সড়ক খারাপ হয়ে যাওয়ায় ভ্যান নিয়ে চলতে খুব কষ্ট হচ্ছে। বাজুবাঘা ইউনিয়নের সদস্য আবদুল মজিদ বলেন, সড়কটি মেরামত ও সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে চেয়ারম্যানকে অবগত করা হয়েছে। এ ছাড়া রাস্তার ধারেই রয়েছে বেশ কয়েকটি স্কুল-কলেজ মাদ্রাসা, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইউপি কার্যালয়। এ সড়ক নিয়ে বেকায়দায় রয়েছি।

বাজুবাঘা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহম্মেদ রনজু বলেন, সড়কটির সংস্কারের জন্য গত মাসে উপজেলা মাসিক মিটিংয়ে আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকেও অবগত করা হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার ফৌজদার বলেন, রাস্তাটি সংস্কার ব্যয় নির্ধারণ করে বিভাগীয় অফিসে পাঠানো হয়েছে। পাশ হলেই কাজ শুরু করা হবে।


শর্টলিংকঃ