বাধা পেরিয়ে গগনযানের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে সফল ভারত


ইউএনভি ডেস্ক:

নির্ধারিত সময়ের ৫ সেকেন্ড আগে স্থগিত। পরে সফলভাবে গগনযানের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।২০২৫ সালে মহাকাশে প্রথম নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে কয়েকদফা পরীক্ষামূলক অভিযানের মধ্যে এটি ইসরোর প্রথম দফা পরীক্ষা। বিবিসি জানায়, শনিবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় (২.৩০ জিএমটি) উৎক্ষেপণ করার কথা ছিল গগনযান মহাকাশযান। কিন্তু আবহাওয়াজনিত কারণে নির্ধারিত সময়ের থেকে ৪৫ মিনিট পরে, অর্থাৎ ৮টা ৪৫ মিনিটে গগনযান যাত্রা শুরু করবে বলে জানানো হয়।

এরপর গগনযানের উৎক্ষেপণ শুরু হতে যখন মাত্র ৫ সেকেন্ড বাকি, সেসময় হঠাৎই ইসরোর ‘কাউন্টডাউন ক্লক’ এ লাল কালিতে ভেসে ওঠে ‘হোল্ড’ অর্থাৎ ‘স্থগিত’ শব্দটি।ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানান, কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি চিহ্নিত হওয়ায় যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে এবং ত্রুটি দ্রুত সারানোও হয়েছে।

অবশেষে সকাল ১০টায় মহাকাশযানের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সময় নির্দিষ্ট করা হয়। পূর্ব নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টা পর সফল উৎক্ষেপণ হয় গগনযান মিশনের টেস্ট ভেহিক্যালের। পরীক্ষামূলক এই উৎক্ষেপণে মাটি থেকে ১৭ কিলোমিটার উচ্চতায় মূল যান থেকে আলাদা করা হয় ক্রু-মডিউল। তারপর তা সোজা বঙ্গোপসাগরে নামিয়ে আনা হয়।

এ অভিযানের নাম রাখা হয়েছে ‘গগনযান অভিযান’। মহাকাশচারীদের নিরাপত্তার জন্য ক্রু এসকেপ সিস্টেমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যার আওতায় মাঝ আকাশে বিপদ ঘটলেও, প্যারাশ্যুটে চেপে নিরাপদে অপতরণ করতে পারবে পৃথিবীবাসী।পরীক্ষামূলক যানটি নিজের সঙ্গে বহন করেছে মহাকাশচারীদের জন্য তৈরি ক্রু মডিউল । এই ক্রু মডিউল নিয়েই রকেটটির বঙ্গোপসাগরে নামার কথা ছিল। এদিনের পরীক্ষায় গগনযানের মডেলের সংঙ্গে তিনটি প্যারাশ্যুট ব্যবহার করা হয়েছে।

আপৎকালীন পরিস্থিতিতে মহাকাশচারীরা প্যারাসুটের মাধ্যমে নেমে আসতে পারবেন কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য যে পরীক্ষা করেছিল ইসরো, সফল হয়েছে তাও। পরিকল্পনামাফিক গগনযান থেকে প্যারাসুট বঙ্গোপসাগরে নেমে এসেছে। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়েছে বলে ইসরো জানিয়েছে।এই সফল পরীক্ষার ফলে এখন আগামী বছর একটি রোবট মহাকাশে পাঠানো সম্ভব হবে। ব্যোমমিত্র নামের একটি রোবটকে মহাকাশে পাঠাবে ইসরো। সেই অভিযান সফল হলে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।


শর্টলিংকঃ