বিএনপি-জামায়াত বেছে বেছে আ’লীগ নেতাদের হত্যা করেছে


ইউএনভি ডেস্ক:

‘তীব্র নীল নিঃশেষে লাল-শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে বিভিন্ন এলাকায় বেছে বেছে আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা করা হয়েছে।


এসব নেতার ওপর ওই এলাকার মানুষ নির্ভর করত। সাধারণ মানুষের কাছে এসব নেতার গ্রহণযোগ্যতা ছিল আকাশচুম্বী। শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার তাদেরই একজন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার এ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

এতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বিশেষ অতিথি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান মুখ্য আলোচক ছিলেন।

ডা. দীপু মনি বলেন, আহসান উল্লাহ্ মাস্টার নীতি ও আদর্শ থেকে কখনও বিচ্যুত হননি। নিজের নীতি ও আদর্শের কারণে সাহসী হয়ে কাজ করতেন। এর মধ্য দিয়ে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছেন।

তিনি বলেন, গাজীপুর-২ আসনটিকে বিএনপির ঘাঁটি বলা হতো। আহসান উল্লাহ্ মাস্টারের মাধ্যমে ওই আসনটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। তাই এ রাজনীতিককে খুন করা হয়েছে। দীপু মনি বলেন, রাজনীতিতে যারা শুদ্ধতার চর্চা করেছেন তাদেরই একজন আহসান উল্লাহ মাস্টার।

তিনি শিক্ষকতা করেছেন। আবার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানেরও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন। মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সততা দিয়ে তিনি এসব জয় করেছেন।

বাবার স্মৃতিচারণ করে মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, পাকিস্তানি বাহিনী আমার বাবাকে আটক করার পরও তাকে হত্যা করতে পারেনি। অথচ আমাদেরই বাড়ির সামনে জুমার নামাজের আগে বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়ে আমার বাবাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমার বাবা জীবনে মানুষের কোনো ক্ষতি করেননি। ধন-সম্পদের প্রতি তার লোভ ছিল না। শিক্ষকতার পাশাপাশি শ্রমিক রাজনীতি করেছেন। এ কারণে বারবার আক্রমণের শিকার হয়েছেন।

জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার কারণে তৎকালীন সময়ে আমার বাবার সঙ্গের অনেকেই সেনাবাহিনীতে চাকরি করার সুযোগ পেয়েছিলেন।

কিন্তু আমার বাবা সেই সুযোগ না নিয়ে টঙ্গীতে শ্রমিকদের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। মানুষই তাকে ভোট দিয়ে বারবার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন। সভাপতিত্ব করেন বইয়ের সম্পাদক অধ্যাপক মো. রাশীদুল হাসান।


শর্টলিংকঃ