বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে বঙ্গবন্ধুর বালু ভাস্কর্য


ইউএনভি ডেস্ক:

‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান’ এই প্রতিপাদ্যে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ‘বালু ভাস্কর্য’ উদ্বোধন হয়েছে। বুধবার বিজয় দিবসে দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন অতিথিরা।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটির নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা করেছে ‘ব্র্যান্ডি কক্সবাজার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ব্র্যান্ডি কক্সবাজারের সমন্বয়ক ইশতিয়াক আহমেদ জয় ও ভাস্কর্য নির্মাতা টিম লিডার কামরুল ইসলাম শিপনের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জনের একটি টিম এই অপরূপ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন। সপ্তাহব্যাপী কঠোর পরিশ্রম করে প্রায় ৬ ফুট উচ্চতা ও ১৪ ফুট প্রশস্ত এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন তারা। নির্মাতাদের দাবী এযাবতকালে বাংলাদেশে নির্মিত সবচেয়ে বড় বালুর ভাস্কর্য এটি।

ভাস্কর্য নির্মাতা গ্রুপর টিম লিডার কামরুল হাসান (শিপন) বলেন, পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। পাশাপাশি আমাদের বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৃথিবীর বৃহত্তর নেতা বঙ্গবন্ধু। তাই বৃহত্তর জায়গায় বৃহত্তর মানুষটিকে সারা পৃথিবীর মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে আমাদের এই বিজয়ে দিনে বালু ভাস্কর্য নির্মাণের কারণ।

তিনি বলেন, যেহেতু সমুদ্র সৈকত। তাই সৈকতের উপপ্রাদ্য দিয়েই আমরা বালু ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। এ যাবত কালে বাংলাদেশে যতো বালু ভাস্কর্য নির্মাণ হয়েছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য। এটি নির্মাণে সময় লেগেছে প্রায় এক সপ্তাহ।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে বঙ্গবন্ধুর বালু ভাস্কর্য
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে বঙ্গবন্ধুর বালু ভাস্কর্য
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বলেন, কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত। এই সৈকতে বঙ্গবন্ধুর বালুর ভাস্কর্য নির্মাণ করে বঙ্গবন্ধুর চেতনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। বর্তমান সময়ে এটি সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য থাকবে। একই ধরনের ভাস্কর্য আরও হবে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক বলেন, এবারে দীর্ঘতম সৈকতে দুইটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। তার মধ্যে একটি বঙ্গবন্ধুর ফ্রি স্ট্যান্ডিং ভাস্কর্য। অপরটি রিলিফ ভাস্কর্য। সৈকতে ভ্রমণে আসা দর্শনার্থীরা এই ভাস্কর্য দেখে আনন্দিত হচ্ছে। স্থাপিত ভাস্কর্য দুইটি আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এরপর প্রশাসনিকভাবে তা বিনষ্ট করে ফেলা হবে।

এদিকে অন্যান্যদের মতে, মননশীলতা, চিন্তশৈলীর অনন্য বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বঙ্গবন্ধুর ‘বালু ভাস্কর্য’ নির্মাণ হয়েছে মহান বিজয় দিবসে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে এ ব্যতিক্রমী আয়োজন সবার নজর কেড়েছে।


শর্টলিংকঃ